হাতিয়ায় ভাসানচর থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো এক জেলা পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম (২৮) ও রোহিঙ্গা শিশু সহ ২ জন নিখোঁজ রয়েছে।
ট্রলার ডুবিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহত গিয়াস উদ্দিনকে (৫৩) শনিবারে নদী থেকে জেলেরা উদ্ধার করেছে। তিনি ভাসান চরে ডাক বিভাগে সাব পোষ্ট মাস্টার ছিলেন। রবিবার সকালে হাসিনা খাতুন (২৫) মরদেহ রামগতির বিবিরহাটে সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
উদ্ধার হওয়ায় ব্যক্তি জিয়াউল হক জানান, তারা ঈদের ছুটিতে ভাসানচর থেকে বাড়ী ফিরছিলেন। পথিমধ্যে নদীতে ট্রলারের তলা ফেটে পানি ঢুকে পড়লে এ দুর্ঘটনায় পড়ে। জীবিত উদ্ধার হওয়া ৪ জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, ফারহানা বিনতে মমিন, ইসমত আরা, মো. তারেক, ফাতেমা খাতুন। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান হাতিয়া নলচিরা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশিষ চন্দ্র সাহা।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, ৩৯জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এর মধ্যে ৩৫জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। রোববার সকালে লক্ষীপুরের রামগতি থেকে এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এক পুলিশ সদস্যসহ এখনো ২জন নিখোঁজ রয়েছে। কোস্টগার্ড বর্তমানে নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।