সারাদেশ

গাজীপুরের শ্রীপুরে বাংলাদেশ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহ সম্পাদক আল রিয়াদ আদনান (অন্তর) কে অপহরণ করে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এনসিপির কর্মীর বিরুদ্ধে।

জানাযায়, গত ২৮ মে অপহরণকারীরা তাকে উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে তোলে নিয়ে জিম্মি করে পুলিশের ভয় দেখিয়ে তার পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করেছে।

গত ৩১ মে এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছে নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শ্রীপুর শাখার একটি ফেসবুক আইডি থেকে ।এতে এলাকায় জনমনে চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।

এনসিপির ফেসবুক আইডি থেকে জানাযায়,জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ন মূখ্য সংগঠক মেজর অব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও কেন্দ্রীয় যুগ্ন মূখ্য সংগঠক এডভোকেট আলী নাছের খানকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থক পরিচয় দিয়ে স্থানীয় যুবক উজ্জ্বল হাসান, কাইফাত মোড়ল, মারুফ, মিঠুন সহ বেশ কয়েকজন জানায় যে, কেন্দ্রীয় নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর উপর হামলাকারী আল রিয়াদ আদনান (অন্তর) কে আটক করা হয়েছে।এমন সংবাদ পেয়ে কেন্দ্রীয় যুগ্ন মূখ্য সংগঠক এডভোকেট আলী নাছের আটককৃতকে দ্রুত থানায় হস্তান্তর করতে বলে।পরবর্তীতে আটককৃত ব্যাক্তিকে থানায় সোপর্দ না করে উপজেলার এমসি বাজারের পূর্ব পাশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মইজ উদ্দিন মোড়লের নেতৃত্বে তাকে রাতভর নির্যাতন করে।পরে নির্যাতনের ছবি ধারণ করে পরিবারের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।ও-ই দিন রাতেই ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ও আদনানের কাছে থাকা একটি আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স মোবাইল ও মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে ছেড়ে দেয়া হয়।

জানা যায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই শ্রীপুর উপজেলা আত্মগোপনে ছিলেন আল রিয়াদ আদনান (অন্তর)।

এদিকে মুক্তিপণে মুক্তি পেয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহ সম্পাদক আল রিয়াদ আদনান (অন্তর) তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি এই দায় এরাতে পারবে না। মহান আল্লাহর সর্বশক্তিমানের অশেষ রহমতে বেঁচে আছি। তোদের মুখোশ খুলে দিবো ইনশাল্লাহ।

এই বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কাইফাত মোড়লকে মুঠোফুনে ফোন দিলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোনটি কেটে দেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ন মূখ্য সংগঠক মেজর অব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, অভিযুক্তরা আমাদের দলের সমর্থক ছিল। গত ২৮ তারিখ আদনানের আটকের বিষয়টি জানতে পেরে তাকে থানায় হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তারা থানায় হস্তান্তর না করে নিজেরাই টাকা পয়সার মোবাইল নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। কেউ যদি নিজে অপরাধ করে এই অপরাধের দায়ভার দল নেবে না

শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আ: বারিক বলেন, তাকে অপহরণ করে মারধর ও মুক্তিপণ আদায়ের একটি ঘটনা বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়েছে, বিষয়টি নজরে এসেছে। কিন্তু এই বিষয়ে ভুক্তভোগী বা কেউ কোন ধরনের অভিযোগ করেনি।অভিযোগ পেলে অপরাধী যত বড় ক্ষমতাশালী হোক না কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।