সারাদেশ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধাদের আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান করা হয়েছে। আজ রোববার (১জুন) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ১০ যোদ্ধাকে সি ক্যাটাগরীতে এক লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।

অনুদানপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের পূর্ব নয়াপাড়া গ্রামের রশিদ আহমদের ছেলে জিয়াউল হক, সাহারবিল ইউনিয়নের মাইজঘোনা মাঝেরপাড়া এলাকার আবদুল খালেক কাজলের ছেলে বোরহান উদ্দিন রিমন, চকরিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড জসিম উদ্দিনের ছেলে হাবিবুল্লাহ মিজবাহ,

ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রংমহল এলাকার মো. জাফর আলমের ছেলে মোর্শেদুল হক, চকরিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড সোসাইটি পাড়ার নুরুল হক এর ছেলে জুনায়েদ খান রাহাত,

সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের মধ্যম সুরাজপুর এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ হাসান, হারবাং ইউনিয়নের মো. নাজিম উদ্দিনের ছেলে সাকিবুল ইসলাম, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের খোজাখালী গ্রামের নেছার উদ্দিনের ছেলে মঈনুল হাসান জিহাদ,

সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ভিলিজার পাড়ার ছৈয়দ আলমের ছেলে মো. আবদুল্লাহ ও চকরিয়া পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের নিজপানখালী গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন হেলালীর ছেলে মো. আবদুল্লাহ মাহমুদ।

চেক প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল আমিন, উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা, চকরিয়া উপজেলা ছাত্র সমন্বয়ক মোবারক হোসেন জিসান,

সাজ্জাদ হোসেন ও সাংবাদিক মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ফারুক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মুহাম্মদ মনজুর আলম ও সাংবাদিক একেএম ইকবাল ফারুক।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোর্শেদুল হক, হাবিব উল্লাহ মিজবাহ, আবদুল্লাহ ও আবদুল্লাহ মাহমুদ।

দুই চোখ হারানো পটিয়া আল জামেয়াহ আল ইসলামীয়া মাদ্রাসার ছাত্র মোর্শেদুল হক বলেন, ৪ আগস্ট’২৪ সালে চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলেন অংশগ্রহণ করতে গিয়ে মহাসড়কে অবরোধ চলাকালে ফ্যাসিস্ট ছাত্রলীগের কর্মীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।

এ সময় একটি গুলি তার চোখে লাগে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর জানতে পারেন তার দুই চোখ নষ্ট হয়েছে। ডাক্তার বলেছে পৃথিবীর কোথাও আমারা চোখ ভালো হবে না।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ১০ যোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে একলাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়া চকরিয়ায় একমাত্র নিহত আহসান হাবিবের পরিবারকে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেওয়া হয়। তার বাড়ির সামনে সড়কটি আরসিসি ঢালাই দিয়ে পাকা করে দেওয়া হয়েছে।

তার কবর সংরক্ষণ ও আহতদের সহায়তা করতে উপজেলা প্রশাসন সবসময় পাশে থাকবে।