সারাদেশ

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের অপসারণের দাবীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন হামলার কারনে পন্ড হয়ে গেছে।

রোববার বিকাল ৪টায় উপজেলা পরিষদের মুল ফটকের অভ্যন্তরে ডাকবাংলোর সামনে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলন শুরুর প্রাক্কালে ইউএনও অফিসের এক কর্মচারীকে দিয়ে মুল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারনে বিকাল ৫টায় শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন শুরু করলে উশৃঙ্খল তরুন সংবাদ সম্মেলনের ব্যানার ছিড়ে নিয়ে যায়।

এরপর লিখিত বক্তব্য পাঠ শুরুর এক পর্যায়ে একই সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে জোড়পূর্বক সংবাদ সম্মেলনের প্রেস নোট ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

কিছুক্ষণের মধ্যে ইউএনও’র দেহরক্ষী আনসার ও গ্রাম পুলিশের শতাধিক সদস্য এসে শিক্ষার্থীদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। প্রায় আধাঘন্টা বিষয়টি নিয়ে উভয়ের সঙ্গে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।

এরপরই সংবাদ সম্মেলন পন্ড হয়ে যায়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী শুভ চন্দ্র শীল বলেন, দুর্নীতিবাজ ইউএনওর অপসারণ, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত, ছাত্র জনতা ও সাধারণ জনতা নিয়ে দুর্নীতি বিরোধী তদন্ত কমিটি গঠন, সাংবাদিক এমরান হাসান সোহেল সহ সকল সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবীতে ইউএনও আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আমরা কয়েকদিন থেকে আন্দোলন করে আসছি।

তারই ধারাবাহিকতায় রোববার বিকালে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কয়েকদিন থেকে সংবাদ সম্মেলন না করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন ইউএনও আমিনুল ইসলাম।

তিনি এখন ইউএনওর চাকুরি রেখে বাউফলে সন্ত্রাসী লালন পালন শুরু করেছেন। তার অনিয়মের বিষয় কথা বললেই ফুঁসে ওঠেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজক সদস্য শাহনাজ বলেন, আমরা যুদ্ধ করে ফ্যাসিষ্ট বিদায় করেছি।

এখন আমাদের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, বাউফলের ইউএনও আমিনুল ইসলাম একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোসর এবং শেখ হাসিনার মুখ্য সচিবের ভাগ্নি জামাই।

তার অনিয়ম দুর্নীতি এখন টক অব দ্য টাউন। ইউএনও আমিনুল ইসলামের অপসারনের দাবীতে আমরা রোববার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করি। কিন্তু তিনি ভাড়াটে সন্ত্রাসী এবং তার দেহরক্ষী দিয়ে আমাদের আয়োজন পন্ড করে দিয়েছেন।

ফ্যাসিষ্ট সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার লক্ষে ইউএনও আমিনুল ইসলাম আমাদের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার অপচেষ্টা করেছেন। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আর আমার জানাও নেই।’