শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কুলাউড়ায় সমিল মালিকের কোটি টাকার ক্ষতি!

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
  ০৫ জুন ২০২৫, ১৩:২২
কুলাউড়ায় সমিল মালিকের কোটি টাকার ক্ষতি!
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বনবিভাগের ২ অসাধু কর্মকর্তার রোষানলে পড়ে এক স’মিল (করাতকল) মালিকের ক্ষতি হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। 

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বনবিভাগের ২ অসাধু কর্মকর্তার রোষানলে পড়ে এক স’মিল (করাতকল) মালিকের ক্ষতি হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা।

এতো বিশাল ক্ষতির পরও স’মিল মালিক তার লাইসেন্স ফিরে পেতে এবং অসাধু ২ কর্মকর্তার দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে ঘুরছেন প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে।

1

স’মিল মালিক কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের একিদত্তপুর গ্রামের এসকে লুৎফুর রহমান বিগত পতিত সরকারের আমলে বনবিভাগের কুলাউড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: রিয়াজ উদ্দিন ও গাজীপুর বিটের বাগান মালী আকবর আলীর রোষানলে পড়েন।

এই দুই অসাধু বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালে ০৫ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৯৮ সনে স-মিল লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য বিধি মোতাবেক আবেদন করেন। লাইসেন্সপ্রাপ্তির আগে তার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দায়ের করে বনবিভাগ।

দীর্ঘদিন মামলা চালিয়ে এসকে লুৎফুর রহমান ৩টি মামলা থেকে বেকসুর খালাস পান।

সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর পুন:আবেদন করেন। স-মিল লাইসেন্স বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে তাকে লাইসেন্স ইস্যু করার কথা থাকলেও বন কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিনের কারণে তা ব্যাহত হয়।

সেসময় রিয়াজ উদ্দিন গাজীপুর বিটের বিট কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স-মিলের তদন্ত প্রতিবেদনে রিয়াজ উদ্দিন এসকে লুৎফুর রহমানের স-মিল বনবিভাগের রিজার্ভ ফরেস্ট হতে দূরত্ব ৪ কিলোমিটার বলে উল্লেখ করেন। অথচ তার নিকটবর্তী স-মিল যা ২০০২ সালের ১৭ জুলাই লাইসেন্স (নং-১৪৭) পায়।

এই স-মিলের তদন্ত প্রতিবেদনে বনবিভাগ থেকে দূরত্ব উল্লেখ করেন ১০ কিলোমিটার। অথচ দু’টি স-মিলের মধ্যকার দূরত্ব মাত্র ৬১০ ফুট। রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে বন আইন লঙ্ঘন করে আরও ৪টি স-মিল চালু আছে কেবল রাউৎগাঁও ইউনিয়নে।

সেই স-মিল থেকে বনবিভাগ মাসোহারা আদায় করে থাকে।

এই দুই বন কর্মকর্তা প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে স-মিল উচ্ছেদের নামে এসকে লুৎফুর রহমানের স-মিলটির ইচ্ছাকৃত ক্ষতিসাধন করেন।

বিভিন্ন সময় একাধিক মামলা ও উচ্ছেদের নামে এসকে লুৎফুর রহমানের দেড় কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করেন অসাধু বন কর্মকর্তাদ্বয়।

এব্যাপারে অভিযুক্ত বনকর্মকর্তা মো: রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগ প্রসঙ্গে জানান, তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ পালন করেছেন মাত্র।

অভিযোগকারি এসকে লুৎফুর রহমানের স-মিলের কোন লাইসেন্স নেই। তার অভিযোগ সব মিথ্যা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে