ঈদকে সামনে রেখে নাড়ির টানে ইতোমধ্যে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। বাবুবাজার সেতু, পোস্তগোলা সেতু ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক হয়ে ২৪ জেলার মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, দক্ষিণ-পশ্বচিমঙ্গের প্রবেশপথ ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে প্রান্তে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ নেই। ভোর থেকে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কিছুটা বেশি যানবাহন চলাচল করলেও অতিরিক্ত চাপ না থাকায় নির্বিঘ্নে দেশের ওই গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে।
তবে দূরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্য দেখা গেছে। মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে নিজ গন্তব্যে ছুটছেন মানুষ। মাদারীপুরের শিবচর এলাকার মোটরসাইকেল যাত্রী নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি প্রায় দিনই ব্যক্তিগত কাজে ঢাকা যাতায়াত করি। এ বছর ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক ও পদ্মা সেতু টোল প্লাজায় এখনো তেমন কোনো যানজট নেই। বাসযাত্রী কাইয়ূম বলেন, আমার বাড়ি নড়াইল জেলায়। ঈদ করতে বাড়ি ফিরছি। সকালবেলা হাইওয়ে হয়ে অন্যান্য সময়ের মতো চলে আসছি। মনেই হয়নি ঈদে বাড়ি ফিরছি।
এদিকে বুড়িগঙ্গা পোস্তগোলা ও বাবু বাজার সেতুতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। এ কারণে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ওই মহাসড়কের কেরানীগঞ্জের কদমতলি, চুনকুটিয়া প্রান্তের ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের লিঙ্ক রোডে যানবাহন চলাচলে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে। তবে ঢাকামুখী লেন রয়েছে একেবারেই ফাঁকা।
যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকলেও যানজট বা ভোগান্তি নেই বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের চাপ সহনীয় হয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন ওই মহাসড়কে দায়িত্বরত মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ওসি জিয়াউল আলম।
তিনি আরও জানান, দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশপথ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রতিদিনের চেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যানবাহনের কিছুটা চাপ রয়েছে তবে কোথাও যানজট বা ভোগান্তি নেই। পদ্মাসেতুতে ৮টি বুথ দিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের জন্য দুটি আলাদা বুথ রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে টোল দিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন।