নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য গোলাম মোমিত ফয়সালের বিরুদ্ধে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য গোলাম মোমিত ফয়সাল জানান, তিনি ১৯৯৫ সালে উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৭ সালে কবিরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য, ২০০৩ সালে নরোত্তমপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, ২০১৫ সালে উপজেলা বিএনপির প্রবাস কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক, ২০১৭ সালে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ২০১৯ সালে জেলা বিএনপির সদস্য এবং ২০২১ সালে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসহ বিগগত ৩০ বছর বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।
২০২০ সালে নিজের ব্যবসার একটি বড় অংকের টাকা ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার এক ব্যবসায়ী জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের চেষ্টা করে। এনিয়ে ২০২০ সালের ৭ জুলাই কবিরহাট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি। তিন দিন পর এনিয়ে কোম্পানীগঞ্জে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের উপস্থিতেতে একটি সালিশি বৈঠকে তাকে যেতে আমাকে বাধ্য করা হয়। তিনি বলেন, আমি বিএনপি করার কারণে ন্যায্য পাওনা টাকা আদায় করতে ব্যর্থ হলেও সালিশি বৈঠকের একটি ছবি নিয়ে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। তারা ছবিটি ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী প্রচারণায় বলে প্রচার করছে। অথচ যেখানে ভোটের প্রচারণার বিন্দুমাত্র রেশ ছিলনা।
এ বিষয়ে কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, বিএনপি নেতা ফয়সাল ছাত্রদল, যুবদল করে এ পর্যায়ে এসেছেন। দুষ্কৃতকারী মহল একটি সালিশি বৈঠকের ছবি দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে হাইকমান্ডের কাছে ভুল বার্তা দেয়ার চেষ্টা করছে। গত ১৫ বছর তিনি দলের দুঃসময়ে নির্যাতিত, ত্যাগী নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক এডভোকেট এবিএম জাকারিয়া বলেন, সামাজিক কারণে অনেক বিয়ের অনুষ্ঠান, সালিশে নেতাদের যেতে হয়। তখন ডাকলে আমাকেও যেতে হতো। তাকে জোর করে বৈঠকে নেওয়া হয়।