সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ শুক্রবার (৬ জুন) দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার প্রায় শতাধিক গ্রামে ঈদুল আজহা উদ্যাপন করা হচ্ছে। জেলার সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাবের অনুসরণ করে হজের পরের দিন ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন।
বৃহস্পতিবার মির্জাখীল দরবার শরিফের মুখপাত্র মোহাম্মদ মছউদুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। দরবার শরিফের অনুসারীরা দীর্ঘ দুই শত বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন।
দরবার সূত্রে জানা গেছে, মির্জাখীল দরবার শরিফের খানকাহ মাঠে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদুল আজহার প্রধান জামায়াত হবে। হজরত শাহ জাহাঁগীর শেখুল আরেফীন (ক.), হজরত শাহ জাহাঁগীর ফখরুল আরেফীন (ক.), হজরত শাহ জাহাঁগীর শমসুল আরেফীনের (ক.) পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান সাজ্জাদানশীন হজরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীনের (ক.) তত্ত্বাবধানে হজরত ইমামুল আরেফীন ড. মৌলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমান নামাজের ইমামতি করবেন। একই সময় দরবার শরিফের অনুসারীরা সারা দেশে ঈদের জামাত আদায় করে পশু কোরবানি দেবেন।
মির্জাখীল দরবার শরিফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাতকানিয়ার মির্জাখীল, এওচিয়ার গাটিয়াডাঙ্গা, আলীনগর, মাদার্শা, খাগরিয়া, মৈশামুড়া, পুরানগড়, বাজালিয়া, মনেয়াবাদ, চরতি, সুঁইপুরা, হালুয়াঘোনা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, চর বরমা, কেশুয়া, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, ডোংরা, শেখেরখীল, ছনুয়া, পুইছড়ি, আনোয়ারার বরুমচড়া, তৈলারদ্বীপ, বারখাইন, খাসখামা, কাটাখালী, রায়পুর, গুজরা, লোহাগাড়ার পুঁটিবিলা, কলাউজান, চুনতী এবং সীতাকুণ্ডের মাহমুদাবাদ, বারিয়াঢালা, বাঁশবাড়িয়া, সলিমপুর, মহালংকা, মিরসরাই, পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ি, ফেনী, রাঙামাটি, কুমিল্লা, ঢাকা, মুহাম্মদপুর, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, মনোহরদী, মঠখোলা, বেলাব, আব্দুল্লাহনগর, কাপাসিয়া, চাঁদপুর জেলার মতলব, সিলেট, হবিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা জেলার কয়েকটি গ্রামসহ শতাধিক গ্রামের বহুসংখ্যক অনুসারী শুক্রবার ঈদুল আজহা উদ্যাপন করবেন।
এ ছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার অনেক গ্রামে থাকা মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরাও একইদিন ঈদুল আজহা উদ্যাপন করবেন।
ঈদ উদ্যাপনের বিষয়ে মির্জাখীল দরবার শরিফের মোহাম্মদ মছউদুর রহমান বলেন, আমরা হানাফি মাজহাবের অনুসারী হিসেবে বিগত দুই শতাধিক বছর ধরে ইয়াউমুল আরাফাহ বা পবিত্র হজ দিবসের পরের দিনই পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করে আসছি।
মছউদুর রহমান আরও বলেন, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ হতে চাঁদের অবস্থান এবং হজ পালনের খবর সচিত্র অবগত হয়ে তথা এই বছর শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ প্রদত্ত হজের খুতবা সরাসরি পবিত্র আরাফাতের মসজিদে নামিরা হতে দেখে-শুনেই দেশ-বিদেশে সিলসিলায়ে আলিয়া জাঁহাগীরিয়া, মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীগণ শুক্রবার ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের পর আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি সম্পন্ন করবেন।