অনেক নাটকীয় তার পর অবশেষে আবারও শেরপুর জেলা বিএনপির ৪১ সদস্যবিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সাক্ষরিত প্যাডে ওই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম সাবেক জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও শেরপুর মডেল গার্লস কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম পেশাগতভাবে তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। মামুনুর রশীদ পলাশ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহর বিএনপির বর্তমান সভাপতি।
তিনি শেরপুর মডেল গার্লস কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম কালামের একমাত্র পুত্র।
কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে, মো. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, মোঃ ফজলুর রহমান তারা অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, আবু রায়হান রুপন, সাইফুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা ও মোহাম্মদ ফাহিম চৌধুরীকে। এছাড়া সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে মো. মাহমুদুল হক রুবেল, মো. হযরত আলী, সাইফুল ইসলাম স্বপন, আব্দুল আওয়াল চৌধুরী, মো. হাতেম আলী,
প্রফেসর নুরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ভিপি, ইসরাত জাহান পান্না, আকরামুজ্জামান রাহাত, আব্দুর রহিম দুলাল, অ্যাডভোকেট আশরাফুন নাহার রুবি, মো. মাহমুদুল হক দুলাল, মো. মহসিন কবির মুরাদ, মেজর (অব:) মাহমুদুল হাসান, এস এম শহিদুল ইসলাম, হাসানুর রেজা জিয়া, অ্যাডভোকেট সামিউল ইসলাম আতাহার, অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম বাবু, ফজলুল চৌধুরী অকুল, শাহজাহান আকন্দ,
হাবিবুর রহমান লিটন, আবু সুফিয়ান, জাফর আলী, আতাহার ইসলাম, প্রকৌশলী তৌহিদুর রহমান, মো. রমজান আলী, মো. আমিনুল ইসলাম শিপন, প্রফেসর শাহিনুর ইসলাম, মো. সাইফুল ইসলাম লিটন, মো. মাহবুবুর রশিদ ও মো. রেজাউল করিম রুমি।
গত বছরের ৩ নভেম্বর জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীর নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত করে, মো. হযরত আলীকে আহ্বায়ক, অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামকে সদস্য সচিব ও আব্দুল আওয়াল চৌধুরীকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। হঠাৎ করে দুই মাসের মাথায় ২ জানুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার ওই কমিটি প্রথমে স্থগিত ও পরে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে প্রায় ৫ মাস যাবত কোন কমিটি ছাড়াই চলছিল জেলা বিএনপি।
এদিকে এ আহবায়ক কমিটি কে নিয়ে, মাঠ পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মীদের মান অভিমান, অভিযোগ থাকলেও , বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে সঠিকগনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং একটি অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচনের সার্থে শেরপুর জেলা বিএনপির সবাই এক কাতারে থাকার আহবান জানান জেলার অভিজ্ঞ ও সচেতন মহল । এবং দীর্ঘদিন পর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা , স্বতঃস্ফূর্ত আন্তরিকতা লক্ষ্য করা গেছে।