নারায়ণগঞ্জের সকল শহীদের নামে একটি করে খাসী কুরবানী দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলা।
শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জের ২১ শহীদ পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে কুরবানির খাসি উপহার হিসেবে পৌঁছে দেন।
শহিদ পরিবারের বাড়িতে খাসী পৌঁছে দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল আমিন, কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী, আহমেদুর রহমান তনু, যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক কবি নিরব রায়হানসহ নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
শহীদ পরিবারগুলোতে পশু উপহার দেওয়া নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ও শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, "যেসব পরিবারের সদস্যগণ জুলাই বিপ্লবে শহীদ হয়েছেন আমরা সেইসব পরিবারের সদস্য হয়ে থাকতে চাই সবসময়। যেকোনো সহযোগিতায় আমরা তাদের পাশে থাকার জন্য প্রতিশ্রুতিশীল ও দায়বদ্ধ। সেই প্রেক্ষিতেই আমরা এই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করছি।"
জাতীয় যুবশক্তির সংগঠক কবি নিরব রায়হান বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ভাইয়েরা আমাদের সহযোদ্ধা। তাদের পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে আমরা ২১টি শহীদ পরিবারকে ২১টি খাসি উপহার দিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়ার ভাইয়েরা আমাদের সহযোদ্ধা। তাদের পরিবারগুলো আমাদেরও পরিবার। আমরা তাদের বাদ দিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারি না। সেই চিন্তা থেকে শহীদ পরিবারগুলোতে খাসি উপহার দেওয়া হয়েছে। আর এই কাজটা করতে আমরা কারো থেকে চাঁদা নেইনি। জাতীয় নাগরিক পার্টি- এসনিপি ও জাতীয় যুবশক্তির জেলা নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ অর্থায়নে এই কাজটি করেছেন। একইদিনে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও শহীদ পরিবারে ঈদ উপহার দেয়া হয়েছে৷ সেখানেও ভূমিকা রেখেছে নারায়ণগঞ্জের এনসিপি ও যুবশক্তি।
শুধু ঈদ নয়, যে কোনো আচার অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নিরব রায়হান। শুক্রবার সারাদিন শহীদ পরিবারগুলোর হাতে কুরবানীর পশু বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সদ্য ঘোষিত জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক ও নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ এলাকায় নানা কর্মসূচি আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি স্থানীয়দের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন বলে জানান সংগঠনটির সদস্য সচিব ডা. জাহেদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “ঈদ উপলক্ষ্যে যুবশক্তির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ এলাকায় জেলা সমন্বয় সভা সম্পন্ন করবেন। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে এনসিপিকে সহযোগিতা ও সক্রিয়ভাবে সদস্যপদ ফর্ম পূরণ করার বিষয়ে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করবেন। ঈদের সময় যারা আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন বা আহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন এবং খোঁজখবর নেবেন।”
ডা. জাহেদুল ইসলাম জানান, নিজ নিজ এলাকায় স্থানীয় যুবকদের সম্পৃক্ত করে বৃক্ষরোপনসহ জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখেন এমন বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করতে বলা হয়েছে।
যার পরিপ্রেক্ষিতে নেত্রকোনা জেলার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পারিবারের মাঝে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রেরিত ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ঈদ উপহার বিতরণে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক - জনাব এস এম মনিরুজ্জামান দুদু, যুবশক্তির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক জনাব প্রীতম সোহাগ, জাতীয় নাগরিক কমিটির জেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম শুভ।