সারাদেশ

রূপসায় জোরপূর্বক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় ৩ যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে নির্যাতিত গৃহবধু বাদী হয়ে ৩জনকে আসামী করে রূপসা থানায় মামলা দায়ের করেছন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের মাসুম হোসেন হাওলাদার এর ছেলে মো. বেলায়েত হোসেন রাতুল ২৩), বিল্লাল মীর এর ছেলে মাসুদ মীর (১৯) ও আজগর হোসেন এর ছেলে মো. পারভেজ খান (২৫)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের জয়পুর খ্রিস্টান কলোনী জমাদার বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসাবে সোহেল শেখ তার স্ত্রী নিয়ে বসবাস করেন।

গত ৮ জুন অনুমান সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আসামিগণ একত্রে বাদীর ভাড়া বাড়িতে আসিয়া তার স্বামীর সাথে আলাদা ভাবে কথা বলার জন্য স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাদের বাড়ির পাশে সিএসবি স্কুলের মাঠে নিয়ে যায় এবং মারপিট করে।

বাদীর স্বামী বাড়িতে আসার দেরী দেখে রাত অনুমান সাড়ে ৯টার সময় বাদী সিএসবি স্কুলের মাঠে উপস্থিত হয়ে তার স্বামীকে বাঁচানোর জন্য কান্নাকাটি করে গ্রেফতারকৃতদেরকে অনুরোধ করেন।

আসামীরা তাতে কোন কর্ণপাত না করিলে বাদী তার স্বামীকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য আসামিদেরকে কিছু টাকা দিতে চান। তখন রাত অনুমান ১০টা ৪৫ বাজে। আসামী মোঃ বেলায়েত হোসেন রাতুল, মাসুদ মীর টাকা আনার জন্য বাদীর সাথে তাদের বাড়িতে যায়। এ সময় আসামি পারভেজ খান তার স্বামীকে সিএসবি স্কুল মাঠে বসে থাকতে বলে আসামি বেলায়েত হোসেন রাতুল আসামি মাসুদ মীর বাড়ির ভিতরে তার সাথে এসে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে।

বাদীর কাছে কোন টাকা না থাকায় বাদী তাদেরকে পরে টাকা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। এ সময় আসামি রাতুল বাদীকে টাকার পরিবর্তে কু-প্রস্তাব দেয়।

বাদী তার প্রস্তাবে রাজি না হলে প্রথমে আসামী বেলায়েত হোসেন রাতুল বাদীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে আসামী মাসুদ মীর বাদীকে ধর্ষণ করে।

বাদীর স্বামী গত ৯ জুন তারিখ আনুমানিক রাত ১টা ৩০মিনিটের সময় বাড়িতে এসে বাদীকে বিছানা এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে কি হয়েছে জানতে চাইলে বাদী তখন তার স্বামী সোহেলকে সবকিছু জানায়।

পরবর্তীতে বাদী অসুস্থ বোধ করায় তার স্বামী ৯ জুন দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে ভর্তি করে।

ঘটনার পর রূপসা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে, যার নং-০৫।