খুলনার পাইকগাছায় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকালে পাইকগাছা প্রেসক্লাবে মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ও উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক কাজী সাজ্জাত আহমেদ মানিক। লিখিত বক্তব্যে বিএনপির দলীয় এ নেতা বলেন গত ১০ জুন মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার কাটাখালী বাজারে সন্ত্রাসী শফি ও তার সহযোগীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সুনাম ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে যড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উক্ত মানববন্ধনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর মোস্তফা গাজী, ইমরান সরদার, শেখ বজলু রহমান ও শেফালী বেগম সহ অনেকেই আমাকে এবং উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক শেখ ইব্রাহিম ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আনারুল ইসলাম কে জড়িয়ে মিথ্যা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়।
যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়। মানিক বলেন কাটাখালী বাজারের পাশে ৫০ একর আয়তনের একটি সরকারি খাল ইজারা নিয়ে আমি শান্তিপূর্ণ ভাবে মৎস্য চাষ করে আসছি। এলাকার একটি কুচক্রী মহল মৎস্য খাল জবরদখল ও লুটপাটের ষড়যন্ত্র এবং বিভিন্ন সময়ে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে আসছে ।
যার অংশ হিসেবে মানববন্ধনে আমাদের জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়েছে। তিনি বলেন সন্ত্রাসী শফির সাথে আমার এবং দলীয় সহযোদ্ধাদের কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নাই। প্রকৃত পক্ষে মানববন্ধন আয়োজনকরীদের অন্যতম মোস্তফা গাজী হচ্ছে সন্ত্রাসী শফির দীর্ঘদিনের সহচর ও বিশ্বস্ত বন্ধু। এছাড়া মোস্তফা গাজী, সালাহ উদ্দিন, কামরুল গাজী ও শেফালী বেগম বিএনপি নেতা কর্মীদের নামে দায়ের কৃত ৪৬/১৮ নং গায়েবী মামলার সাক্ষী ছিল।
তারা নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে মানববন্ধনের নামে আমাদের জড়িয়ে মিথ্যাচার করেছে। সাংবাদিক সম্মেলনের এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান কাজী সাজ্জাত আহমেদ মানিক। এসময় উপস্থিত মানিকের সহধর্মিণী কাজী রত্না আহমেদ বলেন আমি বুধবার সকালে মৎস্য লীজ ঘেরে যায়। এসময় রুহুল আমিন সহ অনেকেই আমাকে জীবন নাশের হুমকি দেয়। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক শেখ ইব্রাহিম ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক বিশ্বজিৎ সাধু উপস্থিত ছিলেন।