ঈদের দাওয়াতে না যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামাইকে মারধর করেছে তার শ্বশুরবাড়ির স্বজনেরা। এতে বাধা দিতে গেলে মারধরের শিকার হয়েছেন ভুক্তভোগীর ভগ্নিপতি ও মা।
বুধবার (১১ জুন) ঘটনাটি ঘটে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কাঠারবিল গ্রামে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ কাঠারবিল গ্রামের বাসিন্দা সুরুজ আলীর ছেলে সাকোয়াত হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ের প্রায় তিন বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি শিশু সন্তানও রয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জামাই সাকোয়াত হোসেনকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তার বাড়িতে যান। তবে পূর্বের কিছু পারিবারিক বিরোধের কারণে তিনি দাওয়াতে সাড়া দেননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।
সাকোয়াতের ভগ্নিপতি এগিয়ে এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে তাকেও মারধরের শিকার হতে হয়। এমনকি সাকোয়াতের মা বাধা দিতে গেলে তাকেও হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সময় উত্তেজিত হামলাকারীরা বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে এমন সহিংসতা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থি।
আহত সাকোয়াত হোসেন বলেন, ‘শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল। আগেও তারা আমাকে অবমূল্যায়ন করেছে। তাই এবার আমি সেখানে যাইনি। কিন্তু তারা আমার বাড়িতে এসে যা করল, তা অমানবিক। শুধু মারধরই নয়, তারা ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেও গেছে।’
এ বিষয়ে হাতিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জাজনক। এটি একটি পারিবারিক বিরোধ হলেও হিংসাত্মক রূপ নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছি।’
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’