রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির দুই নেতাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার রাজশাহী জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম জুম্মা এবং বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রফিকুল ইসলাম রফিক।
এদিকে, দল থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার হওয়ার পর রফিকুল ইসলাম রফিকের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দুলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে রফিক মেম্বারের বাড়িতে
তল্লাশি চালিয়ে তার বাথরুমের ছাদের উপর থেকে একটি ব্যাগের মধ্যে থাকা দেশীও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে, দুইটি চাপাতি, একটি রামদা, একটি রড, একটি পাইপ ও
খড়ের ঘরের মধ্যে হতে একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও রেজিস্টেশন বিহীন একটি ১০০ সিসি লাল রং এর মোটরসাইকেল জব্দ করে পুঠিয়া থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।এর আগে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল ও সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকারের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারুল ইসলাম জুম্মা নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন মিমকে বিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধা দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর কাছেও অভিযোগ করা হয়। দলীয়ভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও তার জবাব সন্তোষজনক হয়নি।
অন্যদিকে, ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে হাতিনাদা গ্রামের দুই আওয়ামী লীগ সমর্থীত এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সংগঠনের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দুলালা উদ্দিন বলেন, গত সোমবার বানেশ্বর ইউনিয়নের হাতিনাদা গ্রামে আবদুল হান্নান নামের এক কাঠ ব্যবসায়ীর বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এই বিষয়ে তিনি থানায় মামলা দাযের করেন। এ ঘটনার পর থেকে রফিক মেম্বার পালাতক রয়েছে।