শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সব আকাশমণি কেটে ফেলা হবে: শ্রীপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 

শ্রীপুর(গাজীপুর) প্রতিনিধি
  ১২ জুন ২০২৫, ১৬:১০
সব আকাশমণি কেটে ফেলা হবে: শ্রীপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 
ছবি: যায়যায়দিন

ঈদ উপলক্ষে গাজীপুরের শ্রীপুরে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনিস্টিউট বিনা-র আঞ্চলিক কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরের দিকে পৌর এলাকার মাধখলা গ্রামে অবস্থিত বিনার আঞ্চলিক কার্যালয়ে আসেন তিনি।

1

এসময় তিনি বলেন,' একখণ্ড জমিও পতিত রাখা যাবেনা। কৃষি পণ্য উৎপাদনের পর সংরক্ষণের জন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এখানকার গামা ইরেডিয়েশন সেন্টারের মাধ্যমে পণ্য পচনরোধক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে। কৃষক সময় নিয়ে এসব পণ্য সংরক্ষণের পর বিক্রয় করতে পারলে দাম স্বাভাবিক থাকবে।'

তিনি বলেন,'করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সকালের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা উচিৎ। টেস্ট করা উচিত। এ বিষয়ে সবখানে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।'

তিনি আরও বলেন,'কৃষিতে পরিবেশ বান্ধব গাছপালা রোপন করতে হবে। বেশী করে ফলমূলের গাছ লাগানোর উৎসাহ দিতে হবে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এসব গাছ সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ কেটে ফেলা হবে।'

তিনি বলেন,' কৃষি কর্মকর্তাদের অবশ্যই মাঠ পর্যায়ে কৃষকের খোঁজ নেওয়ার তাগিদ দিতে হবে। সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে উপসহকারী কৃষি অফিসার প্রান্তিক কৃষকদের সাথে যোগাযোগ রাখবেন।'

পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,গাজীপুর মেট্রোপলিটন কমিশনার ড. মুহাম্মদ নাজমুল করিম খান,গাজীপুরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী যাবের সাদেক, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার সজিব আহমেদ,কৃষি অধিদপ্তরের গাজীপুরের পরিচালক রফিকুল ইসলাম, শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল বারিক, শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিসার সুমাইয়া সুলতানাসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে গাজীপুরের সালনা হাইওয়ে থানা ও ৬৩ বিজিবি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার মাধখলা এলাকায় অবস্থিত বিনায় রশ্মি (রেডিয়েশন) প্রয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলের পচনরোধ,জীবাণুমুক্ত করন,সংরক্ষনকাল বাড়ানো এবং স্পাউটিং কমিয়ে আনা বিষয়ে গবেষণা করা হয়। এই পদ্ধতিটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরাও পদ্ধতিটি প্রয়োগে সফলতা পেয়েছেন।

কয়েক বছর ধরে বিনার উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ পেঁয়াজ, রসুন, আলু, আম, কলা, পটোল, করলাসহ অন্যান্য পচনশীল ফসল সংরক্ষণে গামা রশ্মি প্রয়োগের পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করছে। এবার বৃহৎ পরিসরে কৃষি বানিজ্যিকিকরন বৃদ্ধিতে গামা রেডিয়েশন এর ব্যবহার ও আরো ব্যপক গবেষণার প্রযোজনে এই সেন্টার তৈরি হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে