বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার সার্বিক উন্নয়নের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে সারিয়াকান্দি উপজেলা উন্নয়ন আন্দোলন কমিটি।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে সারিয়াকান্দি প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচি শেষে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বরাবর একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়।
উন্নয়ন দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— নদীবন্দর স্থাপন, দ্বিতীয় যমুনা সেতু নির্মাণ, সার কারখানা, বিসিক শিল্পনগরী, ইপিজেড (রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা), মেডিকেল কলেজ ও পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা উন্নয়ন আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ শেখ সাদী, যুগ্ম আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতিন,কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা মুজাহিদুল ইসলাম পলাশ, রবিউল ইসলাম লিটন, জুলফিকার আলম রুনু,লাল মাহমুদ লাল,মিজানুর রহমান মিলন,জহুরুল ইসলামসহ স্থানীয় সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ব্যক্তিবর্গ।
কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সারিয়াকান্দি উপজেলা দিয়ে যমুনা, বাঙ্গালী ও সুখদহ নদী প্রবাহিত হয়েছে। যমুনার তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক কালীতলা ও প্রেম যমুনা ঘাট, সারিয়াকান্দি শহরের ভৌগোলিক অবস্থান এবং কৃষিতে সমৃদ্ধ চরাঞ্চল—সব মিলিয়ে এ উপজেলা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এখানকার কৃষিপণ্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং বিদেশেও রপ্তানি হয়।
পর্যটনের জন্য সম্ভাবনাময় প্রেম যমুনা ও কালীতলা ঘাটে প্রতিনিয়ত ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। এ কারণে স্থানীয়ভাবে এই অঞ্চলকে ''মিনি কক্সবাজার'' বলেও অভিহিত করা হয়।
কমিটির নেতারা বলেন, উপজেলার ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও ইতিহাস বিবেচনায় আমাদের উত্থাপিত দাবিগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক এবং বাস্তবসম্মত। এ দাবিগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আমরা প্রশাসন ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।