বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র ছাত্রদল নেতা, কেন্দ্র সচিবকে শোকজ

নাটোর প্রতিনিধি
  ২৬ জুন ২০২৫, ১৬:৫৬
এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র ছাত্রদল নেতা, কেন্দ্র সচিবকে শোকজ
ছবি : যায়যায়দিন

নাটোরের বড়াইগ্রামের চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় বনপাড়া কলেজে কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে এক ছাত্রদল নেতাকে দেখা যায় হাত উঁচিয়ে শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা প্রদান করছেন। অপরদিকে কক্ষ পরিদর্শক পরীক্ষার্থীদের মাঝে উত্তোরপত্র বিতরণ করছেন।

এঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কেন্দ্র সচিব বনপাড়া কলেজ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কোহিনুর খাতুনকে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন ইউএনও। একই সাথে ওই কক্ষে পরির্শকের দায়িত্বে থাকা চার শিক্ষককে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া রাকির সরদার নামে ওই ছাত্রদল নেতা বনপাড়া শহর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বনপাড়া পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব সরদার রফিকের ছেলে। এইচএসসি বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় বড়াইগ্রাম-২ (বনপাড়া কলেজ) কেন্দ্রের ২০৫ নম্বর কক্ষে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের নিদের্শনা দিচ্ছিলেন ওই নেতা এসময় ছবি তুলছিলেন অপর সহযোগী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুধুমাত্র পরীক্ষার্থি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কেন্দ্র প্রবেশের নির্দেশনা রয়েছে। একই সাথে পরীক্ষা কেন্দ্রের এক’শ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এসময় ছাত্রদল নেতা রাকিব সরদার ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে তার সহযোগিসহ কেন্দ্রে প্রবেশ করে বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের নির্দেশনা-অভয় দিতে থাকেন।

সবশেষ ২০৫ নম্বর কক্ষে গিয়ে স্মার্র্ট ফোন দিয়ে নিজের ছবি তুলে ফেসবুকে পোষ্ট করেন। অথচ কোন ভাবেই পরীক্ষা কেন্দ্রে স্মার্ট ফোন অনুমোদিত নয়। এ বিষয়ে ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব বনপাড়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কোহিনুর খাতুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আমার অগোচরেই ঘটে

গেছে।

তবে প্রশ্নপত্র বিতরণের আগেই ওই নেতা কেন্দ্র ত্যাগ করেন। তিনি বলেন, ২০৫ নম¦র কক্ষে দায়িত্বরত চারজন কক্ষ পরিদর্শককে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন মোসাদ্দেক হোসেন, নারগিস আক্তার, মতিউর রহমান ও তসলিম উদ্দিন।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, ইউএনও মহোদয় আমাকে অবহিত করেছেন।

এ বিষয়ে আইগত পদক্ষেপ গ্রহনের প্রক্রিয়া চলমান। ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমি ৯.৪০ এ বনপাড়া কলেজ কেন্দ্র পৌঁছে উপস্থিত অভিভাবক ও বহিরাগতদের কেন্দ্র থেকে বেরকরে দেই। এরপর শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শন টিম তাদের কার্যক্রম শেষ করে চলে যাবার পর ১০.৪০ মিনিটে ওই কেন্দ্র ত্যাগ করি। এর আগে ছাত্রদলের ওই নেতা কক্ষে প্রবেশ করেছিলেন। পরে ফেসবুকে ছবি ভাইরাল হবার পরে ঘটনাটি আমার নজরে আসে। এরপর কেন্দ্র সচিবকে কারন দর্শানের নোটিশ এবং ২০৫ নম্বর কক্ষে দায়িত্বরত ৪জন কক্ষ পরিদর্শককে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে