গাজীপুরের কাপাসিয়ায় কাঁঠালের ভ্যালুচেইন উন্নয়ন ও বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির নিমিত্ত ভ্যালুচেইন প্রমোশনাল বিজনেস প্লানিং কনসালটেন্ট-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্ট্রোপ্রেনরশীপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) এর আওতায় সুবিধাভোগি অংশীজনদের অংশগ্রহণে এ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন।
কাপাসিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুমন কুমার বসাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গাজীপুরের উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম খান।
কাঁঠাল চাষের উপর মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের পোস্টহার্ভেষ্ট এন্ড কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স স্পেশালিস্ট মোঃ মামুন হোসেন। ভ্যালু চেইন প্রমোশনাল অফিসার মো. আফজালুর রহমানের পরিচালনায়
আয়োজক সংস্থা হর্টেক্স ফাউন্ডেশন, স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) আয়োজিত আলোচনা সভায় কাঁঠালের ভ্যালুচেইন প্রমোশনাল বিজনেস প্রকল্পের বিস্তারিত ধারনা দেওয়া হয়।
বক্তারা জানান, সারাদেশে ২০টি উপজেলার মধ্যে কাপাসিয়া ও শ্রীপুর, টাঙ্গাইলের মধুপুর ও সখিপুর উপজেলায় কাঁঠাল চাষের উন্নয়নে কাজ করছেন।
কাপাসিয়া উপজেলায় ১৭৬০ হেক্টর জমিতে কাঁঠাল চাষ করা হয়। ইতিমধ্যে কাপাসিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ২৫ জন করে ৫টি অংশীজন সংগঠন গঠন করা হয়েছে।
তারা সমবায় সমিতি গঠন করে ব্যবসায়ীক কল্যাণে দলগতভাবে সঞ্চয় জমা করবেন । উপজেলার আমরাইদে পার্টনার ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কাঁঠাল চাষীদের নিয়ে গ্রুপ বা দলভিত্তিক কাজ করা, পার্টনার ওয়ান স্টপ ফার্মার সেন্টারে মৌসুম ভিত্তিক কাজ করা, ফসল বিক্রয় পঞ্জিকা তৈরি, ফসলের বাজার বিশ্লেষণ, কোন বাজারে কেমন দাম,
পাইকারি ও খুচরা মূল্য কেমন, প্যাকহাউজে দৈনিক ফসলের ওজন নেয়া, রেজিষ্ট্রারে সকল তথ্য লেখা, বাছাই, ধোঁয়া, গ্রেডিং, ক্রেটে প্যাকেজিং, ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ ও দরাদরি করা,
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, দেনা পাওনা, দলভিত্তিক ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য পুঁজি সংগ্রহ, বিনিয়োগ ব্যবস্থা ও লভ্যাংশ বন্টনসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া আগামী এক বছরের ব্যবসা পরিকল্পনা চূড়ান্ত ও লিপিবদ্ধ করা।বাজার ব্যবস্থাপনা কাজের জন্য বড়হর গ্রাম সমিতি প্রথম পুরস্কার এবং মৌসুম ভিত্তিক কাজের জন্য কড়িহাতা গ্রাম সমিতি দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করেছেন।