টাঙ্গাইলের মধুপুরে ডায়রিতে প্রেমে প্রতারণা শিকারের কাহিনী লিখে একজন স্কুল শিক্ষিকা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষিকার নাম লাকী। তিনি মধুপুরের কুড়ালিয়া ইউনিয়নের কেউটাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করতেন।
এদিকে তার মৃত্যুর জন্য দায়ি ব্যক্তির বিচার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, একই উপজেলার গোবিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইবনে মাসুদের সঙ্গে শিক্ষিকা লাকীর প্রেম ছিল। পরে মাসুদ তার সঙ্গে প্রতারণা করেন। বিষয়টি একটি ডায়েরিতে লিখে কীটনাশক পান করেন শিক্ষিকা লাকী।
বিষয়টি বুঝতে পেরে পরিবারের লোকজন তাকে প্রথমে মধুপুর ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এর একদিন পর ওই শিক্ষিকা মৃত্যুরবরণ করেন।
এদিকে, তার স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেন। আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে কুড়ালিয়া ইউনিয়নের কেউটাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাছিনা খাতুন, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান, নিহত লাকীর বোন লাভলী আকতার, হলুদিয়া গ্রামের আলেয়া বেগম,
স্থানীয় এলাকাবাসী কামাল হোসেন, কেউটাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও নিহত লাকীর বড় ভাই ঢাকা কলেজের ছাত্র কবির হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকা ছাত্র ছাত্রী অভিভাবকরা উপস্থিত ছিল। মধুপুর থানার ওসি ইমরানুল কবির বলেন, এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।