বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন আরও ৯৬ বাংলাদেশি

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন আরও ৯৬ বাংলাদেশি

সৌদি আরব থেকে আরও ৯৬ জন বাংলাদেশি পুরুষ কর্মী দেশে ফিরেছেন। বুধবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তারা দেশে ফেরেন। এ নিয়ে এই মাসে পাঁচ দিনে মোট ৪২১ জন ফিরলেন।

১ নভেম্বর ১০৪ জন, ২ নভেম্বর ৭৫ জন, ৩ নভেম্বর ৮৫ জন, ৪ নভেম্বর ৬১ জন ও গতকাল ৬ নভেম্বর ৯৬ জন কর্মী বাংলাদেশি সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন।

বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের দশ মাসে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ২০ হাজার ৬৯২ বাংলাদেশি।

বরাবরের মতো বুধবার রাতে ফেরত আসাদের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে খাবার-পানিসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য জরুরি সহায়তা প্রদান করা হয়।

দেশে ফেরা কর্মী কিশোরগঞ্জের তোফাজ্জলের ভাষ্য, মাত্র আড়াই মাস আগে তিনি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। এর মধ্যেই তাকে ফিরতে হলো।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মহিউদ্দিন জানান, তিনি তিন বছর ধরে সৌদি আরবে ছিলেন। সাড়ে ১৮ হাজার রিয়াল দিয়ে আকামা নবায়ন করেছিলেন। কিন্তু তাকে এখন ধরপাকড়ে পড়ে শূন্য হাতে ফেরত আসতে হলো।

গাজীপুরের মো. হান্নান মিয়া জানান, তিনি ১৫ বছর ধরে সৌদি আরবে। বৈধ আকামা থাকা সত্ত্বেও সৌদি পুলিশ রাস্তা থেকে ধরে। আকামা দেখানোর পরেও তাকে ছাড়া হয়নি।

নোয়াখালীর জয়নাল, ময়মনসিংহের আলম, জামালপুরের সবুজ মিয়া, বরিশালের মামুনসহ আরও অনেকই তাদের দুরবস্থার কথা জানান।

ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, চলতি বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার বাংলাদেশি নাগরিককে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ বছরের কোন মাসে কত কর্মী ফিরেছেন, সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি, গত দুই মাস ধরে ধরপাকড়ের তীব্রতা বেড়েছ। অনেকেই মনে করেন ইকামা থাকলেই বৈধ। কিন্তু কেউ যদি বৈধ ইকামা থাকার পরও যেখানে কাজ করার কথা, সেখানে না করে অন্য জায়গায় কাজ করেন, সৌদি আইন অনুযায়ী সেটাও অপরাধ। এই বিষয়গুলো কর্মীদের বোঝাতে হবে। আর রিক্রুটিং এজেন্সিকেও এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কোনো কর্মী যেখানে না যান, সেখানে গিয়ে সেই কাজ পান। ফ্রি ভিসার নামে প্রতারণা বন্ধ করা উচিত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে