মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

জগন্নাথপুরে আধুনিক পদ্ধতিতে বীজতলা-রোপণ-কর্তন

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৮

সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় সমলয় চাষাবাদে সুনামগঞ্জ জেলার কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে স্থানীয় কৃষকদের প্রশিক্ষন এবং যন্ত্রের ব্যবহারে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। যান্ত্রিক সাহায্যে বোরোধান চাষাবাদে কৃষি ব্যয় কম হওয়ায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে জগন্নাথপুর উপজেলার কৃষকরা রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের সাহায্যে বোরোধান রোপণ করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখে গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার ফসলের মাঠ বোরো ধান চাষের জন্য বীজতলা পরিচর্যা ও রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় কৃষি অফিসের নির্দেশনা ও পরামর্শে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে ঘুরে ঘুরে নির্বিঘ্নে বোরো ধান চাষে বিভিন্ন প্রযুক্তি যেমন বোরো ধানের উচ্চ ফলনশীল জাতের চাষ, বীজ শোধন, আদর্শ বীজতলা, তীব্র শৈত্যপ্রবাহে বোরো বীজতলার যত্ন ইত্যাদি গ্রহণে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছেন। বোরোধান চাষে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমানো, কর্তনোত্তার অপচয় রোধ, শ্রমিকের কায়িক শ্রম লাঘব, শ্রমিকের অভাব পূরণ ও ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে ফসল উৎপাদনে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারে বোরোধানের সমকালীন চাষাবাদ পদ্ধতি অনুসরণের নির্দেশনা দিয়েছে। সমকালীন চাষাবাদ পদ্ধতিতে যন্ত্র ব্যবহার করে একই সময়ে, একই জাতের ফসলের একসঙ্গে চারা রোপণ, আন্তঃপরিচর্যা ও কর্তন করা হয়। এ পদ্ধতিতে সঠিক সময়ে অল্পদিনের চারা রোপণ করা সম্ভব। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের জন্য ট্রেতে উৎপাদিত চারা রোগ বালাই মুক্ত, সম ঘনত্বের সবল সতেজ চারা উৎপাদিত হয় ও পলিথিন সীট দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় ফলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহেও চারা সুস্থ থাকে।

রাইস ট্রান্সপ্লান্টার কাজ করা কৃষকেরা জানান, প্রথমে ট্রেতে চারা লাগানো হয় এবং পঁচিশ দিন পর চারা উত্তোলন করে বোরোধান এর চারা রোপণে আধুনিক পদ্ধতির রাইস ট্রান্সপ্লান্টার কৃষি যন্ত্রের সাহায্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে জমিতে ধান লাগনো সম্ভব হচ্ছে। কৃষি যন্ত্রের সাহায্যে বোরো ধানের চারা রোপন করে সময় ও উৎপাদন খরচ কমাতে আমরা রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের সাহায্যে চারা ধান রোপণ শুরু করেছি। রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে মাধ্যমে চারা রোপন করতে যন্ত্রের চালক সহ দুই জন কৃষক ১লিটার তেল দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে এক বিঘা জমিতে চারা রোপন করতে পারছি। এতে আমাদের প্রতি বিঘায় দেড় হাজার টাকা করে উৎপাদন খরচ কমছে ।

জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কাওসার আহমেদ জানান, আগে ধান চাষ করতে অনেক শ্রমিক লাগতো উৎপাদন খরচ বেশি হতো এখন দুই জনেই সব কাজ হয়ে যাচ্ছেন। কাদা জমিতে যন্ত্রের সাহায্যে ধানের চারা রোপণ শুরু হয়েছে, যা আমাদের দেশের প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উৎপাদন খরচ কমবে বলে আশা। কৃষি শ্রমিকের সংকট ও উৎপাদন ব্যয় কমাতে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে কৃষকদের এই মেশিন ব্যবহারে প্রল্পুদ্ধ করছে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে