বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মধু মাসের মধুময় ফলে ছেয়ে গেছে বাজার

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  ০৪ জুন ২০২৩, ১৪:৩৩

প্রকৃতিতে এখন জ্যৈষ্ঠ। জ্যৈষ্ঠকে বলা হয় বাংলার মধুমাস। কেননা এ মাসে যত ফলই আছে সবই মিষ্টি এবং সুস্বাদু।দেশের বিভিন্ন যায়গা থেকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আসছে মৌসুমি মধু ফল। পুরো বাজারগুলোতে সর্বত্রই আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, জামরুল, বেল, পেয়ারাসহ নানা জাতের ফল পাকতে শুরু করেছে। এসব পাকা ফলের মিষ্টি গন্ধ সহজেই মন কাড়ে সবার।

ক্রেতারা এই মধুফলে আকৃষ্ট হয়ে ভিড় করছেন বাজারগুলোতে।যদিও পাইকারি ও খুচরা বাজারে ফলের দামে বিস্তার ফারাক লক্ষ্য করা যায়।পরিস্থিতি এমন-খুচরা বাজারে অধিকাংশ ফলের দাম পাইকারি আড়তের তুলনায় দ্বিগুণ।

দোকানগুলোতে থরে থরে সাজানো দেশি ফল হাতছানি দিচ্ছে কলাপাড়া উপজেলার মানুষকে।প্রকৃতির তাপে-গরমে হাঁস-ফাঁস অবস্থার মাঝেও রসনা তৃপ্ত করতে সন্ধ্যা বা রাতে বাড়ি ফেরার পথে উচ্চবিত্ত পরিবারের গৃহকর্তা ঠিকই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এসব বাহারি মৌসুমী ফল। তবে নিম্ন আয়ের মানুষেরা চড়া দাম হওয়ায় এসব ফল খুব স্বল্প পরিমাণেই কিনতে পারছেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলায় জ্যৈষ্ঠের শুরুতে দেশীয় ফলের আগমনে ফলের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়েছে বাজারগুলোতে। আম, লিচু, কাঁঠাল, জাম, বেল, জামরুল, সফেদাসহ মৌসুমী ফলের সমারোহ দেখা দিয়েছে বাজারে। আশপাশের এলাকা থেকে মধুমাসের বিভিন্ন রসাল ফল উঠতে শুরু করেছে বাজারগুলোতে । বাজারে কাঁঠালের আকার অনুপাতে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা টাকায় বিক্রি হচ্ছে।প্রতি কেজি আম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি জাম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে, আনারসে জোড়া ১০০-১২০ টাকা, ১০০টি লিচু ৩০০ থেকে ৪০০ ও কেজি প্রতি জামরুল ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি পিস তাল ছোট (তিন কোষ) ১০থেকে ১৫ টাকা, বড় তাল (তিন কোষ) ২০ টাকা। তবে জ্যৈষ্ঠের দ্বিতীয় সপ্তাহ পরে এসব ফলের দাম কমে আসবে বলে ব্যবসায়ীদের ধারনা।

পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,বাজারে প্রথম দিকে আসা ফলগুলোর দাম একটু বেশি থাকলেও আস্তে আস্তে দাম কিছুটা কমেছে। তবে স্থানীয় উৎপাদিত ফলেও অনেকটা চাহিদা পুরন হচ্ছে এখানকার বাজারগুলোর। তিব্র গরমে প্রতিদিনই অনেক ফল নষ্ট হচ্ছে আমাদের, তাই বেশিরভাগ পাইকারি ব্যবসায়ীদের গুনতে হবে লোকসান।

কুয়াকাটা বাজারের খুচরা ফল ব্যবসায়ী জসিম উদ্দীন বলেন,বর্তমানে বাজারে থাকা ফলগুলোর দাম তুলনামূলক কিছুটা বেশি তবে দাম অল্প সময়ের মধ্যেই আরো কমে যাবে।কারন প্রচন্ড গরমে সব ফলগুলোই একসঙ্গে পেকে যাচ্ছে তাই বিক্রি বাড়ছে এবং চাহিদাও রয়েছে বাজারগুলোতে বেশ জমজমাট।

মহিপুর বাজারে মৌসুমি ফল কিনতে আসা মেহেদী হাসান বলেন,দেশে এখন মৌসুমি ফলের মাস চলছে।এ সময় বাজারগুলোতে সব ধরেনের দেশীয় মিষ্টি ফল পাওয়া যায়।তাই পরিবারের সবার জন্য বাজার থেকে এসব ফল কিনতে এসেছি। বাজারে অনেক জাতের আম সহ নানা ফলে ভরপুর বাজার।

কুয়াকাটা কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো.ইয়াসিন মুসুল্লী বলেন, বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে আম। প্রকার ভেদে প্রতি কেজি আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে। তিনি বলেন, প্রতিদিন সকালে পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে আম।তবে একটু দাম কমেছে আগের থেকে।এ বছর সব ধরনের মধু ফলে চাহিদা পুরন হবে বলে আশা করছি।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে