বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
মাইক্রোফাইন্যান্স খাতের পরামর্শ সভা

বাজেটে  মাইক্রোফাইন্যান্স খাতে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল প্রয়োজন 

অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
  ২২ মে ২০২৫, ১৬:০৮
বাজেটে  মাইক্রোফাইন্যান্স খাতে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল প্রয়োজন 
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ইনাফি বাংলাদেশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে 'জাতীয় বাজেট ২০২৫–২৬: মাইক্রোফাইন্যান্স খাতের পরামর্শ সভা' শীর্ষক একটি জাতীয় পরামর্শ সভা। এতে অংশ নিয়ে আসন্ন জাতীয় বাজেট নিয়ে তাদের প্রত্যাশা তুলে ধরেন দেশের মাইক্রোফাইন্যান্স খাতের নেতারা।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান (ইভিসি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্, আশার প্রেসিডেন্ট মো. আরিফুল হক চৌধুরী এবং শক্তি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. হুমায়রা ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন ইনাফি বাংলাদেশ ও সোনালী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশের ১২তম কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনাফি বাংলাদেশ-এর ভাইস চেয়ারম্যান এমরানুল হক চৌধুরী।

1

মূল প্রবন্ধে মাইক্রোফাইন্যান্স খাতের প্রধান নীতিগত ও আর্থিক প্রত্যাশাগুলো তুলে ধরে বলা হয়, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও দারিদ্র্য বিমোচনে মাইক্রোফাইন্যান্স খাতের ভূমিকা অপরিসীম। এই খাতের কার্যক্রম টিকিয়ে রাখতে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল প্রয়োজন।

পরামর্শ সভায় মাইক্রোফাইন্যান্স খাতের পক্ষ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার একটি ক্ষুদ্র ঋণ (রিভলভিং) তহবিল গঠনের আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া ২০২৪ সালের অর্থবিলে প্রস্তাবিত জটিল কর বিধানগুলো সরলীকরণের আহ্বান জানানো হয়। দাতাদের সহায়তা ক্রমেই কমে যাচ্ছে উল্লেখ করে অনুদান-নির্ভর সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে সরকারি অনুদান বরাদ্দের আহ্বান জানানো হয়। এ সময় মাইক্রোফাইন্যান্স খাতের নেতারা অর্থ মন্ত্রণালয় ও মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নিয়মিত প্রাক-বাজেট পরামর্শ সভাগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন, যাতে নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তগুলোতে মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা ও চাহিদার প্রতিফলন দেখা যায়।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, বর্তমানে দেশ নানা সংকটের মুখোমুখি। কোভিডের সময়ের মতো এই প্রেক্ষাপটেও মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে জলবায়ু অভিযোজন ও নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে বেকারত্ব মোকাবেলার মতো বিষয়গুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে অনানুষ্ঠানিক খাতগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাজেটে বরাদ্দ রাখা হলে আমরা এ ভারসাম্য বজায় রাখতে পারব।

এমআরএ-এর নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, মাইক্রোফাইন্যান্স খাতের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা হলে নীতিনির্ধারক ও উন্নয়ন সহযোগীদের সমর্থন আদায় আরো সহজ হবে।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থায়নের সুযোগ বাড়াতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বড় মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলো যদি ব্যাংকের মতো সঞ্চয় সংগ্রহ করতে পারে এবং সেটি ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থায়নে ব্যবহার করতে পারে, তাহলে এই খাতের অর্থনৈতিক সংকট অনেকটাই দূর হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে