গত ১৮ থেকে ২০ মে কক্সবাজারে টিয়েন্স বাংলাদেশের আয়োজনে বিশেষ ওয়ার্কশপ প্রগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। টিয়েন্স বাংলাদেশের এই প্রগ্রাম সমূহে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি মো: শফিকুল ইসলাম।
তিনি টিয়েন্স এর পণ্য ও কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। টিয়েন্স বাংলাদেশের এমডি এনডি ওয়াং পুরো প্রগ্রামে টিয়েন্সের মূল বিষয় ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আলোচনা করেন।
তিনি বলেন টিয়েন্স সারা পৃথিবীর মানুষের মাঝে শুধু স্বাস্থ্য ও সম্পদের সহযোগিতাই করেনা বরং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য সব সময় কাজ করে জীবন মান উন্নতির জন্য। কক্সবাজার পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান টিয়েন্স এর পথ চলায় আরও সমৃদ্ধির বিষয়ে শুভকামনা জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় রয়েল ক্রিকেট ক্লাব ও টিয়েন্স এর সাথে। টিয়েন্স লোগো জার্সি উন্মোচন করা হয়। টিয়েন্স লোগো অঙ্কিত থাকবে ক্লাবের জার্সিতে।
এমডি এন্ডি ওয়াংকে বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। ডাইরেক্টর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বিশেষ প্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন টিয়েন্সের বিশ্বব্যাপি জনহিতকর কাজ ও বিশালত্ব বিষয়ে।
অন্তত ১৫০ জন ডিস্ট্রিবিউটরের অংশগ্রহনে পাঁচ তারকা হোটেল রামাদায় ওয়ার্কশপে বিশেষ প্রশিক্ষক হিসেবে টিয়েন্স রিজিওনাল সিনিয়র ম্যানেজার ফেডেরিক চমৎকার প্রশিক্ষন পরিচালনা করেন।
তিনি কখনো হল রুমে ব্যবসায়িক বৃদ্ধির বিভিন্ন মূল বিষয়, কখনো সূর্যোদয় সময়ের সমুদ্র সৈকতের বিশেষ অনুশীলন পরিচালনা করেন। প্রত্যকেই বিশেষ সার্টিফিকেট অর্জন করেন।
এমডি এন্ডি ওয়াং প্রত্যেক টিমের সাথে ব্যবসায়িক ফলপ্রসূ আলোচনা করেন। সকল লীডারগণ দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তাদের উন্নয়নের জন্য। কোম্পানির তত্বাবধানে বিমানে করে বিজয়ীগণ ঢাকা থেকে কক্সবাজারে আসেন।
সকলে হোটেল রামাদায় রাত্রিযাপনের পাশাপাশি বিশেষ বুফে ডিনার প্রগ্রামে অংশ নেন। সকলেই সমুদ্রে গা ভাসিয়ে দিয়ে ছবি তোলেন, কখনো হোটেলের সুইমিংপুলে গা ভিজিয়ে ভিডিও ধারন করেন।
টিয়েন্স বাংলাদেশ তাদের জন্য বিশেষ এই সুযোগ করে দিয়েছে ভ্রমণ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজের আরও উন্নয়ন ঘটানোর।
"ভালোবাসা ও মহানুভবতা " কাজের অংশ হিসেবে ১৮ মে ২০২৫, বান্দরবান নাইখ্যাংছড়ি পাহাড়ি এলাকার মেঘের বাড়ি শিশু সদনে টিয়েন্স এর পক্ষ থেকে দানশীল কাজের একটি চমৎকার প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি (অপারেশন্স) মোঃ শফিকুল ইসলাম (বিপিএম ,পিপিএম), মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান , পুলিশ সুপার (পিবিআই),
এমডি এন্ডি ওয়াং, ডাইরেক্টর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, মাহবুবুর রহমান , মোঃ ফখরুল হাসান সরকার, স্টার গোল্ড লায়ন ও গোল্ড লায়ন লিডারগণসহ অন্তত ২০ জন কক্সবাজার থেকে ২ ঘন্টা যাত্রা করে নাইখ্যাংছড়ি পৌছান ও দানশীল কাজে অংশ নেন ।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের পরিচালনায় পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারি শিশুদের হাতে টিয়েন্সের পক্ষ থেকে স্পোর্টস সামগ্রী , শুকনো খাবার , দুপুরের লাঞ্চ বিতরণ ও অর্থ সহায়তা করা হয় । শিশুরা পাহাড়ি ফুল দিয়ে সবাইকে বরণ করেন , তারা তাদের ভাষার গান পরিবেশন করেন স্বাগত জানানোর সময়। এছাড়াও শিশুরা নানান ট্রাডিশনাল নৃত্য পরিবেশন করেন।
মোঃ শফিকুল ইসলাম ,এনডি ওয়াং শিশুদের শুভেচ্ছা জানান ও তাদের স্বপ্ন যেন পুরন হয় সে জন্য আশা ব্যক্ত করেন। এমডি এনডি ওয়াং কে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার স্মরনিকা তুলে দেন জামাল উদ্দিন।
টিয়েন্স ভালোবাসা যে প্রকৃত অর্থেই সকল জায়গার মানুষের জন্য হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার প্রকাশ এটা আবার প্রমাণিত। বিশ্বে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেয়া ও ভালোবাসা দিয়ে সাজানো পৃথিবী তৈরির জন্য টিয়েন্স এর এই দানশীল কাজ মানুষের জন্য অনেক সুযোগ তৈরী করবে। বেটার টিয়েন্স, বেটার লাইফ