চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস) ১৯৯৬ সালের ৬ই ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়ে পাড়ি দিয়েছে দীর্ঘপথ। আজ এই সমিতির ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।দআটাশে চবিসাস, প্রানখোলা উচ্ছ্বাস প্রতিপাদ্যে চবি সাংবাদিক সমিতির এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে এবারের উদযাপন শুরু হয়। এরপর লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনু্ষ্িঠত হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
চবিসাসের সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমুর সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন চবিসাস সভাপতি মাহবুব এ রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন চবিসাসের দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ আজহার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিণ আখতার বলেন, ৬জনকে দিয়ে শুরু হওয়া চবিসাস আজ ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। সাংবাদিকেরা জাতির বিবেক। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকিছুই জাতির সম্মুখে তুলে ধরেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে সংবাদ পরিবেশনে বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে চলতে হবে। আমাদের খারাপ কাজ কতটুকু হয়েছে জানিনা কিন্তু ভালো কাজের নিদর্শনও কম নাই। ব্যক্তিকে অপছন্দ করলেও বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের। তাই ইতিবাচক লেখাগুলো তোমাদের তুলে ধরতে হবে।
সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩: সাংবাদিকতায় নেতিবাচক প্রভাব ও করণীয়' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপনে সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহাব উদ্দিন নীপু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা অনেকটা জলে বাস করে কুমিরের সঙ্গে ঝগড়া করার মতোই। তবে এটা ব্যক্তিগত বিরোধ নয়, পেশাগত বিরোধ। সত্যকে তুলে ধরতে গিয়ে তৈরি হয়। এটাই ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার বাস্তবতা। স্বাভাবিক অবস্থার ব্যতিক্রম হওয়াটাই হচ্ছে সংবাদ যা লোকে জানতে চায়৷
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে,সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌলাহ বলেন, বর্তমানে সংবাদমাধ্যমগুলোকে কর্পোরেট কোম্পানিগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে বলে সংবাদমাধ্যম দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, সাংবাদিকতা থেমে যাবে।
এখন একটা ক্রান্তিকালীন সময় চলছে বলা যেতে পারে। তবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করার মাধ্যমে এই পেশাকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে এগিয়ে নিতে হবে। আপনারা ভয় নিয়ে বসে থাকবেন না। ভয় শীঘ্রই কেটে যাবে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চবি জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক ড. বশির আহাম্মদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. নূরুল আজিম সিকদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আমীর মুহাম্মদ মুছা, সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আলী এবং সহকারী প্রক্টর অরূপ বড়ুয়া এবং চুয়েট সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নাজমুল আলম। এছাড়া সাবেক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য দেন চবিসাসের সাবেক সভাপতি হুমায়ুন মাসুদ, আশহাবুর রহমান শোয়েব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের চৌধুরী।
এ সময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নূরল আজিম সিকদার বলেন, ১৯৯৬ সালে শুরু হওয়া এই সংগঠনের আজ ২৮ বছর পূর্তির উচ্ছ্বাসে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমরা চাই আপনারা বিশ্ববাসীর কাছে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরবেন।
যাযাদি/ এম