কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ডাকা ৯১তম জরুরি সভায় এজেন্ডা পরিবর্তন করে বিধি-বহির্ভূত ও বেআইনিভাবে ডিন নিয়োগসহ সিন্ডিকেট সভায় মতামত প্রদানের সুযোগ সীমিত করার প্রতিবাদ জানিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রেজিস্ট্রার বরাবর ড. শেখ মকছেদুর রহমানের সই করা এক পদত্যাগপত্রে বিষয়টি জানা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, আমরা একটা পদত্যাগপত্র পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

পদত্যাগপত্রে ড. শেখ মকছেদুর রহমান বলেন, আমি ২০২১ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারি থেকে সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে কর্মরত আছি। গত ১৪মার্চ অনুষ্ঠিত ৯১ তম সিন্ডিকেট সভায় অ্যাজেন্ডা বহির্ভূত ও বেআইনিভাবে ডিন নিয়োগ দেওয়া হয়। একাধিক সিন্ডিকেট সদস্যের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও বিশেষ ব্যক্তিকে সুবিধা প্রদানের জন্য পরিকল্পিতভাবে ডিন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যা শুধু দুঃখজনকই নয়, বিধি-বহির্ভূতও বটে।

বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস নিয়ে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ভাবনা

তিনি আরও বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম ও সমস্যা সমাধানের জন্য গত ২৫, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ৫ মার্চ ও ১৩ মার্চ লিখিতভাবে অনুরোধ করেন । কিন্তু সমস্যা সমাধানের দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি যার ফলে শিক্ষকগণ নানা রকম বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন, সাধারণ শিক্ষক হিসেবে আমি নিজেও এই বিড়ম্বনার শিকার।

এদিকে সিন্ডিকেট সভায় মতামত প্রদানের সুযোগ সীমিত করার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ একটা বিষয় পর্যবেক্ষণ করছি, সিন্ডিকেট সভায় মতামত প্রদানের সুযোগ খুবই সীমিত অধিকাংশ ক্ষেত্রে মতামত প্রদানের কোন সুযোগ নেই, এখানে সদস্য হিসেবে থাকা বা না-থাকা একই অর্থ বহন করে। মূলত আমাদেরকে সভার কোরাম পূর্ণ করার জন্য রাখা হয়েছে। সচেতন নাগরিক হিসেবে যেটা অস্বস্তিকর। যার প্রতিবাদ স্বরূপ আমি পদত্যাগ করলাম।

উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর হলের প্রাধ্যক্ষ, গণমাধ্যম উপদেষ্টা, সহকারী প্রক্টর, আবাসিক হলের হাউস টিউটরসহ অনেকে উপাচার্যের স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেন।

যাযাদি/ এসএম