বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

হাবিপ্রবিতে কর্মকর্তাদের জন্য দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
  ২৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৬
হাবিপ্রবিতে কর্মকর্তাদের জন্য দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আইআরটি) এর আয়োজনে প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দের জন্য “অফিস ব্যবস্থাপনা” বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআরটি কনফারেন্স রুমে উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির ভাইস—চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান, সভাপতিত্ব করেন আইআরটি এর পরিচালক প্রফেসর ড. এস. এম. হারুন—উর—রশীদ, সঞ্চালনা করেন আইআরটি এর সহযোগী পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ সুলতান মাহমুদ। রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) এর উর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ও বিভাগীয় প্রধান এম. আমিনুর।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে ভাইস—চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান উপস্থিত সকলকে পবিত্র রমজান মাস ও স্বাধীনতার মাসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী সকল শহিদ, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদদের। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ ২৪ বছর লড়াই, সংগ্রাম, জেল, জুলুম, ও নির্যাতন সহ্য করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ৪৬৮২ দিন তিনি জেলখানায় কাটিয়েছেন, পরিবারকে বি ত করেছেন। লক্ষ্য ছিল পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম ও সম্মানজনক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা এবং অনেক ত্যাগের বিনিময়ে সে লক্ষ্য তিনি অর্জন করেছেন। স্বাধীনতার পর তিনি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় ও আন্তজার্তিক চক্রের সহযোগিতার মাধ্যমে জাতির পিতা কে সপরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি সোনার বাংলা বিনির্মাণের এই পথ রুদ্ধ করে, এটি ছিল পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড। আমরা এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। সেইদিন ঘাতকদের হাত থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

৭৭ বছর বয়সেও তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, দেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করেছেন। বিশেষ করে ২০০৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পরই শুদ্ধাচারের তথা রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থাকে কতটা স্বচ্ছ করা যায় সেটি নিয়ে তিনি কাজ করছেন। এটির প্রধান লক্ষ্য হলো স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণমূলক প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এরই ধারাবাহিকতায় প্রশাসনে গতিশীলতা নিয়ে আসার লক্ষ্যে ই—নথি বাস্তবায়নের পর বর্তমানে ডি—নথির মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মকান্ড সম্পাদন করা হচ্ছে। এর ফলে অফিস ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। তিনি বলেন প্রশাসনে এক সময় লাল ফিতার দৌরাত্ম্য তথা স্থবিরতা ছিল, এর থেকে মুক্তি দিয়েছে ডি—নথি। ডি—নথির মাধ্যমে যেকোন সময় যেকোন স্থানে থেকেই অফিসের কাজ করা যাবে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো প্রশাসনে গতিশীলতা নিয়ে আসা।

এর ফলে কোথাও কোন ফাইল আটকে রাখার সুযোগ নেই এবং ফাইলের সাথে জড়িত সকলেই এটি ট্র্যাকিং করতে পারবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শাসক হিসেবে নয়, সেবক হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। আমাদের প্রত্যেককেও সেই একই মানুসিকতা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। এই উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আমাদের সকলকে একাত্মতা পোষণ করে কাজ করে যেতে হবে। আপনাদের যার যার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে। পরিশেষে এ ধরণের প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য তিনি আইআরটি সংশি­ষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে