বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

জাবিতে মুখোমুখি পুলিশ-শিক্ষার্থীরা : অবরুদ্ধ উপাচার্য

জাবি প্রতিনিধি
  ১৭ জুলাই ২০২৪, ১৫:০০
জাবিতে মুখোমুখি পুলিশ-শিক্ষার্থীরা : অবরুদ্ধ উপাচার্য
ছবি : যায়যায়দিন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) হল বন্ধ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করায় মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও পুলিশ। রেজিস্ট্রার ভবনে অবরুদ্ধ জাবি উপাচার্য।

বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় জাবি প্রশাসন শিক্ষা কার্যক্রম ও আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করলে বিক্ষুব্ধ হয়ে পরেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

1

এসময় বিক্ষুব্ধ কয়েকজন শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার ভবনে ভাঙচুর চালান। তবে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা জানান যারা ভাঙচুর চালিয়েছে তারা আমাদের কেউ নয়। তারা অনুপ্রবেশকারী ছাত্রলীগের কর্মীরা। ভাঙচুরের পরপরই পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুপুর থেকে শহিদ মিনার এলাকায় দুই পক্ষের এ মুখোমুখি অবস্থান দেখা যায়। এর আগে, বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে দেড় শতাধিক পুলিশ সাঁজোয়া যান নিয়ে প্রবেশ করে জাবি ক্যাম্পাসে।

এদিকে জাবি ভিসিসহ অন্যান্য শিক্ষকদের রেজিস্ট্রার ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি পুনরায় সিন্ডিকেট সভা ডেকে হল বন্ধ ঘোষণা ফিরিয়ে নিতে হবে। সেই সাথে গত ১৫ জুলাই আন্দোলনকারীদের উপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।

আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফ সোহেল বলেন, ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশকারীরা রেজিস্ট্রার ভবনে ভাঙচুর চালিয়েছে। আমাদের আন্দোলনে ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশকারীরা আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে রেজিস্ট্রার অফিস ভাংচুর চালিয়েছে। আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই হামলার সাথে জড়িত না।

অন্য সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের কেউই ভাংচুরের সাথে জড়িত না। ছাত্রলীগ তাদের অনুসারীদের দিয়ে এই ভাংচুর চালিয়েছে। আমরা এর দায়ভার গ্রহন করবো না।

এ সময় আন্দোলনকারীদের দুইজন প্রতিনিধি পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করেন। আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা চাই হল ভ্যাকেন্টের সিদ্ধান্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরে আসুক। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কোন পুলিশি হামলা না হোক। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি আমাদের হল ভ্যাকেন্ট যেন না হয়। তারা এই সিদ্ধান্ত নিলে আমরা সবাই হলে অবস্থান করবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে হল ভ্যাকেন্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ৭/৮ জন শিক্ষক আহত হয়েছে, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে । কিন্তু তিনি তাদের নাম বলতে পারেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিচ্ছেন জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কোনো উত্তর দেননি৷

উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই জাবি শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলার বিচার চেয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে চান না আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাই আবাসিক হল বন্ধু ঘোষণায় প্রতিবাদ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে