প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করে এবং ছাত্র-আন্দোলনে নিহত আবু সাইদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে দেশজুড়ে সমালোচিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সাময়িক বরখাস্তকৃত) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে সাফাই গেয়ে অনবরত লিখে গেছেন।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ছাত্রী এই ঊর্মি বিতর্কিত শিক্ষক ও লেখক অধ্যাপক জাফর ইকবালের সঙ্গী ছিলেন। গণজাগরণ মঞ্চেও তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঊর্মি শাবি থেকে থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করে ২০২২ সালে সরকারি চাকরিতে ঢুকেন।
সোমবার (৭ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।
স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে রোববার ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পোস্ট দিয়েছি এটাই তো যথেষ্ট। অনলি মি করেছি, বিভিন্ন কারণে হতে পারে।’ পরে তিনি বলেন, ‘এ বিষয় আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখা গেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। এছাড়া, আওয়ামী লীগের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে বেশকিছু পোস্টও করেছেন। একটি স্ট্যাটাসে তিনি ছাত্র আন্দোলনের নিহত শহীদ আবু সাইদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়েছেন।
জানা গেছে, তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি নেত্রকোনা জেলার জেলার পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামের মো: ইসমাইল হোসেনের মেয়ে। তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী। ঊর্মিরা কেউ গ্রামের বাড়িতে থাকেন না। তারা দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহে অবস্থান করছেন। মাঝে মধ্যে তারা বাড়িতে যান।
ঊর্মিদের প্রতিবেশী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিম উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘ঊর্মি মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তিনি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করে ২০২২ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে ঊর্মি বড়। ছোট ভাই জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন। বাবা দীর্ঘদিন ময়মনসিংহ আনন্দমোহন সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন। তবে তাদের পরিবার কোনোদিন রাজনীতির সাথে সক্রিয় ছিলো- এমনটি জানা নেই।’
যাযাদি/ এস