পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(পবিপ্রবি) জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৫ পালিত হয়েছে। আজ দিবসটি উপলক্ষ্যে পবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সকাল ১০টায় ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস এম হেমায়েত জাহান ।
উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রন্থাগারিক প্রফেসর ড. মোঃ হাবিবুর রহমান এর উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থাপনায় ছিলেন সহকারী গ্রন্থাগারিক মোঃ আলমগীর হোসেন। এছাড়াও প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস এম হেমায়েত জাহান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোঃ কবিরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, "জ্ঞান চর্চা ও নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে গ্রন্থাগারের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরকে নিয়মিত গ্রন্থাগারে যেতে হবে এবং গ্রন্থাগারের জ্ঞান ভান্ডার সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে"।
মুখ্য আলোচক বিজনেস এডমিস্ট্রেশন অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর বদিউজ্জামান বলেন, লাইব্রেরির কোনো বিকল্প নেই। মানুষ লাইব্রেরি থেকেই নিজ জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে। পৃথিবীর সমৃদ্ধ বইগুলো লাইব্রেরিতেই সংরক্ষিত থাকে। এটি জ্ঞান ভান্ডার।
বিশেষ অতিথি রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে গ্রন্থাগার ব্যবহারের সংস্কৃতি গড়ে তুলি। তিনি বলেন, আমাদের সন্তানদের গ্রন্থাগারমুখী করে তুলতে পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমরা একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।
প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস এম হেমায়েত জাহান বলেন, "গ্রন্থাগার শুধু বইয়ের সংগ্রহ নয়; এটি জ্ঞান, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সংরক্ষণাগার। আমাদের সমাজের প্রতিটি স্তরে জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার প্রসারে গ্রন্থাগারের ভূমিকা অপরিসীম। বিশেষ করে আমাদের নতুন প্রজন্মকে বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে এবং জ্ঞানার্জনের পথে উদ্বুদ্ধ করতে গ্রন্থাগার একটি অপরিহার্য প্রতিষ্ঠান।"
এছাড়াও তিনি অনুষ্ঠানের আয়োজকদের এবং উপস্থিত সকলকে যারা গ্রন্থাগার আন্দোলনে অবদান রাখছেন তাদের ধন্যবাদ জানান। বক্তব্য শেষে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা রচনা প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করেন।
যাযাদি/ এমএস