বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেছেন। গতকাল রাত ১১টা থেকে এই অনশন কর্মসূচি শুরু হয় এবং আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও রাষ্ট্রপক্ষের কোনো সাড়া মেলেনি।
এদিকে, অনশনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রবিউল ইসলাম নামের একজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা ১টার দিকে আরও তিন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মো. তানজিন হোসাইন। তিনি বলেন, "গতকাল রাত থেকে না খেয়ে থাকা, শরীরে পানিশূন্যতা এবং অতিরিক্ত গরমে তাদের রক্তচাপ কমে যাওয়ায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আপাতত তাদের স্যালাইন দেয়া হয়েছে।"
উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের স্পষ্ট ঘোষণা, উপাচার্যকে না সরানো পর্যন্ত তারা অনশন ভাঙবেন না, এমনকি প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করতেও প্রস্তুত।
অনশনরত শিক্ষার্থী ওয়াহিদুর রহমান ক্ষোভের সাথে বলেন, "শূচিতা শরমিনের পদত্যাগ না হলে, আমার কফিন এখান থেকে যাবে।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজ আশরাফুল হক শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে বলেন, "২৮ দিন যাবত শিক্ষার্থীরা একজন স্বৈরাচার উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে ন্যায্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। তাকে সরিয়ে দিতে রাষ্ট্রপক্ষের কী ধরনের বাধা রয়েছে, তা আমরা বুঝতে পারছি না।"
যাযাদি/ এসএম