বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

সাফারী পার্ক থেকে লেমুর চুরি, উদ্বিগ্ন উপদেষ্টা

গাজীপুর প্রতিনিধি
  ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:১৩
সাফারী পার্ক থেকে লেমুর চুরি, উদ্বিগ্ন উপদেষ্টা
ছবি: যায়যায়দিন

গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত সাফারী পার্ক গাজীপুর থেকে একের পর এক লেমুরের মতো দুর্লভ প্রাণীর চুরির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুর সাফারি পার্ক পরিদর্শন শেষে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এসময় তিনি পার্কের কোর সাফারী, আফ্রিকান সাফারী, পাখিশালা, হাতিশালা ও চুরি যাওয়া আফ্রিকান প্রাণী রিংটেইল লেমুর বেস্টনী ঘুরে দেখেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের উপদেষ্টা বলেন, এভাবে দুর্লভ প্রাণীগুলো কিভাবে চুরি হলো এটি খোঁজে বের করতে হবে। আমি মনে করি এখানে যারা দায়িত্বে আছেন, নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন, ঘটনার আগে ও পরে তাদের ভূমিকা দেখতে হবে। একই ঘটনা যখন ঘটছে, তখন কেন এসব স্থান সিসিটিভির আওতায় আনা হয়নি, সিসি ক্যামেরা কেন কাজ করেনি? এসব বিষয়ে প্রশ্ন তুলেন উপদেষ্টা।

এছাড়াও তিনি বলেন, আপনি যখন ঘটনার ১৪দিন পর মামলা করবেন তখন তো আর এসব হারিয়ে যাওয়া প্রাণী ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যায়। এছাড়াও আজ একটি বিষয় প্রমাণিত একটি সংঙ্গবদ্ধ চক্র আছে যারা বাংলাদেশকে বন্যপ্রাণী পাচারের রোড হিসেবে ব্যবহার করেন।

তিনি আরো বলেন, সাফারী পার্ক আর চিড়িয়াখানা এক নয়, সাফারী পার্কে দর্শনার্থীরা প্রাণীকে দেখবে প্রাণীকে ভালবাসবে, আর প্রাণীগুলো যতোটুকু সম্ভব প্রাকৃতিক পরিবেশে রাখা হয়। তবে এ পার্কে হাতিশালা, জাগুয়ার বেস্টনী ও লেমুর বেস্টনীগুলোতে সে উপযুক্ত পরিবেশ রাখা হয়নি বলে পরিদর্শন করে জানান তিনি।

তিনি বলেন, কেন বারবার এমন ঘটনা ঘটছে, বিলুপ্ত যে সব বন্যপ্রাণী এখানে এনে আমরা রাখছি সে সব হারিয়ে যাচ্ছে, এটি খোঁজে বের করতে হবে। একই জায়গা থেকে যখন টিয়া পাখি, ময়না পাখি হারায় না, লেমুর হারিয়ে যায় তখন আপনাকে বুঝতে হবে এখানে একটি সমস্যা আছে। সে সমস্যাটি চিহ্নিত করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমার মনে হয় পার্ক ব্যবস্থাপনাটা আরো অনেক উন্নত করতে হবে। প্রাণীবান্ধবরও দর্শনার্থীবান্ধব করতে হবে। এখানে কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাবের পাশাপাশি জনবল সংকট আছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো: আমীর হোসাইন চৌধুরী, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো: যাবের সাদেক, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক সানাউল্লাহ পাটোয়ারী, সেন্ট্রাল সার্কেলের বন সংরক্ষক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন, গাজীপুর সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহতারী বন সংরক্ষক মো: রফিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

যাযাদি/ এমএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে