রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌয়ালরা

সাভার ও মানিগঞ্জের মাঠে মাঠে সরিষা ক্ষেতের পাশেই সারিবদ্ধভাবে বসানো হয়েছে মৌমাছির বাক্স। হাজার হাজার মৌমাছি হলুদ রঙের সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে বাক্সে জমা করছে। ৭ থেকে ৮ দিন পর পর ওই সব বাক্স থেকে বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রতি বাক্সে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মৌমাছি আর একটি মাত্র রানী মৌমাছি থাকে। রানী মৌমাছি ডিম দেয়। মৌমাছির নাম 'এফিস মিলিফেরা' জাতের মাছি। সারাদিন মাছিগুলো সরিষার ফুলে পরাগায়ণ ঘটায় এবং মধু সংগ্রহ করে। এতে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরের সরিষা ক্ষেত থেকে মধু সংগ্রহ করে মাছিগুলো। মোমের ফ্রেমে মাছি মধু জমা করে আর রানী মাছি ডিম দেয়। যখন ফ্রেমগুলো মধুতে ভরে যায় তখন বাক্স থেকে ফ্রেমগুলো খুলে বিশেষ প্রক্রিয়ায় মাছি মুক্ত করা হয় এবং ড্রামের মধ্যে ঘুরাইয়া (ঘূর্ণায়মান ড্রাম) মধু পৃথক করে নেওয়া হয়
ইমরান সিদ্দিকী
  ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

বর্তমানে গ্রাম-বাংলার মাঠের পর মাঠজুড়ে দেখা মিলছে হলুদের সমারোহ। দৃষ্টি যত দূরেই যাক, তত দূরেই হলুদের রঙে সৌন্দর্য পিপাসুদের থমকে দিয়েছে। সরিষা ফুলের সঙ্গে ছবি তোলা যেন চাই-ই চাই। যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ রংয়ের ছড়াছড়ি। সরিষা ফুলের হলুদ রঙে সেজেছে বাংলার ফসলের মাঠ। সরিষার ক্ষেতের পাশে মৌবাক্স স্থাপন করে ভ্রাম্যমাণ মৌয়ালরা মধু সংগ্রহ শুরু করেছেন। তারা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। গতবারের চেয়ে এবার সরিষার ফলনের সঙ্গে সঙ্গে মধুচাষে ব্যাপক লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এখানকার কৃষক ও মৌ চাষিরা। সরিষা চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। বাংলাদেশে শীতের সময় মধুর প্রচলন ও ব্যবহার বহুগুণ বেড়ে যায়। আর মধুর চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করে থাকে সরিষা ফুল থেকে সংগৃহীত মধু। দেশের চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে বিদেশে।

এখন সরিষার মৌসুম। মাঠের পর মাঠ যেন সরিষা ফুলের হলুদ চাদর বিছানো। আর এ সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌ-বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ-চাষিরা। কয়েক বছর ধরে সরিষা মৌসুমে মধুর উৎপাদন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। ফলে সরিষা মধু উৎপাদনে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে মধু। সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌ-বাক্স স্থাপন করে কৃত্রিম পদ্ধতিতে ভ্রাম্যমাণ মধু সংগ্রহ করা যায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর প্রায় ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়। দেশের বিভিন্ন গ্রামের ফসলের মাঠে সরিষা ফুল থেকে কৃত্রিম পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহ করছে মৌ-চাষিরা। কিন্তু কৃষকদের মাঝে অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। সরিষা ক্ষেতে মৌমাছি বসালে ফসলের ক্ষতি হয়। ফলে অনেক স্থানে মৌ-চাষিদের বসতে দেয়া হয় না। এমনকি সরিষা ক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করা হয়। ফলে ফুলে মৌমাছি বসায় মৌমাছি মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। সুতরাং, সরিষা ক্ষেতে মৌমাছির বিচরণ হলে ফসলের জন্য আরো উপকার হয়। সরিষা ক্ষেতে মৌমাছি থাকলে তা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ফলন বাড়ে। যে সরিষা ক্ষেতে মৌমাছি নেই সেখানে সরিষার ফলন কম হয়। একদিকে সরিষা থেকে যে মধু পাওয়া যাবে তা বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান; অন্যদিকে, সরিষা ক্ষেতে মৌমাছি থাকায় সরিষার ফলন বেশি হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, সাভার ও মানিগঞ্জের মাঠে মাঠে সরিষা ক্ষেতের পাশেই সারি বদ্ধভাবে বসানো হয়েছে মৌমাছির বাক্স। হাজার হাজার মৌমাছি হলুদ রঙের সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে বাক্সে জমা করছে। ৭ থেকে ৮ দিন পর পর ওই সব বাক্স থেকে বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রতি বাক্সে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মৌমাছি আর একটি মাত্র রানী মৌমাছি থাকে। রানী মৌমাছি ডিম দেয়। মৌমাছির নাম 'এফিস মিলিফেরা' জাতের মাছি। সারাদিন মাছিগুলো সরিষার ফুলে পরাগায়ণ ঘটায় এবং মধু সংগ্রহ করে। এতে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরের সরিষা ক্ষেত থেকে মধু সংগ্রহ করে মাছিগুলো। মোমের ফ্রেমে মাছি মধু জমা করে আর রানী মাছি ডিম দেয়। যখন ফ্রেমগুলো মধুতে ভরে যায় তখন বাক্স থেকে ফ্রেমগুলো খুলে বিশেষ প্রক্রিয়ায় মাছি মুক্ত করা হয় এবং ড্রামের মধ্যে ঘুরাইয়া (ঘূর্ণায়মান ড্রাম) মধু পৃথক করে নেওয়া হয়। এতে প্রতি বাক্স থেকে ৬ থেকে ৭ লিটার মধু বের করা যায়। খামার করতে খরচের মধ্যে একটা বাক্স ৬০০ টাকা, একটা মোমের ফ্রেম ৫০০ টাকা। সরিষা ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করা এসব মধু ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা লিটারে বিক্রি করা যায়।

চিকিৎসকরা বলছেন, সরিষা ফুলের সাদা মধুতে গস্নুকোজ ও ফ্রুকটোজ নামক দুই ধরনের সুগার থাকে। এ ছাড়াও সুক্রোজ ও মালটোজও খুব অল্প পরিমাণে রয়েছে। মধুর শর্করার ঘনত্ব এত বেশি যে, এর মধ্যে কোনো জীবাণু ১ ঘণ্টাও বাঁচতে পারে না। সব বয়সের মানুষ সরিষা ফুলের মধু খেতে পারেন। এতে কোনো ক্ষতি নেই। আর সরিষা ফুলের মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি। এই মধু একেবারেই কোলেস্টেরলমুক্ত। বিশেষ করে মধু রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি, হার্ট শক্তিশালী, কোষ্ঠকাঠিন্য ও অনিদ্রা দূর করে। শারীরিক দুর্বলতা দূরসহ পাকস্থলী সুস্থ রাখে।

অনেক ওষুধি গুণের এ মধু অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমেই সরিষা ফুলসহ অন্যান্য সময়ে কালোজিরা ফুল, লিচু ও গুজি তেলের ফুল থেকে মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। মানিকগঞ্জের মৌ-চাষি আব্দুল বাতেন বলেন, বর্তমানে মৌ-খামারে ২০০টি মৌ বক্স রয়েছে। প্রতিটি বক্স থেকে সরিষা ফুলের সময়ে প্রায় ১০ কেজি করে মধু সংগ্রহ করা যায়। প্রায় ৮ বছর ধরে তারা মৌমাছি থেকে মধু সংগ্রহ করছেন। পড়াশোনার পাশাপশি মৌমাছি পালন ও মধু সংগ্রহ করে তাদের পরিবার এখন স্বাবলম্বী।

ময়মনসিংহের শুম্ভুগঞ্জের চরের মৌ-চাষি রহমত খান বলেন, এবার মৌসুমের সরিষা ক্ষেতের পাশে দেড়শ' মৌ-বাক্স বসিয়েছি। এ পর্যন্ত বাক্সগুলো থেকে তিন বার মধু সংগ্রহ করা হয়ে গেছে- যা থেকে একেকজন ৩০ থেকে ৩৫ মণ মধু সংগ্রহ করেছি। অল্প খরচে মৌ-চাষ বেশি লাভজনক হওয়ায় চাষিদের পাশাপাশি অনেক বেকার যুবক এ চাষ করার জন্য আগ্রহী হচ্ছেন। তারা আমাদের কাছে এসে বিভিন্ন পরামর্শও নিচ্ছেন।

টাঙ্গাইল ও জামালপুরের বিভিন্ন উপজেলার মাঠে মাঠে এখন সরিষার হলুদ ফুলের অপরূপ দৃশ্য। পুরো মাঠ যেন ঢেকে আছে সুন্দর এক হলুদের চাঁদরে। তাই এই সুযোগে মৌ-চাষিরাও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সরিষার ক্ষেত থেকে মধু সংগ্রহে। টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর, মির্জাপুর এবং জামালপুরের মেলান্দহ, সরিষাবাড়ী, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ফসলের জমির পাশে পোষা মৌমাছির শত শত বাক্স নিয়ে হাজির হয়েছেন মৌয়ালরা। ওই সব বাক্স থেকে হাজার হাজার মৌমাছি উড়ে গিয়ে মধু সংগ্রহে ঘুরে বেড়াচ্ছে সরিষা ফুলের মাঠে। জানা গেছে, চাষিরা সাধারণত পছন্দের একটি সরিষা ক্ষেতের পাশে খোলা জায়গায় চাক ভরা বাক্স ফেলে রাখেন। একেকটি বাক্সে মোম দিয়ে তৈরি ছয় থেকে সাতটি মৌচাকের ফ্রেম রাখা হয়। আর তার ভেতর রাখা হয় একটি রানী মৌমাছি। রানী মৌমাছির কারণে ওই বাক্সে মৌমাছিরা আসতে থাকে। মৌমাছিরা ফুল থেকে মধু এনে বাক্সের ভেতরের চাকে জমা করে। পাশাপাশি বাক্সগুলোর ভেতরে দেওয়া হয় রানী মৌমাছি। যাকে ঘিরে আনাগোনা করে হাজারো পুরুষ মৌমাছি। রানীর আকর্ষণে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছিরা। একটি রানী মৌমাছির বিপরীতে প্রায় তিন থেকে চার হাজারের মতো পুরুষ মৌমাছি থাকে একেকটি বাক্সে। আর এই চাক থেকেই মধু সংগ্রহ করে মৌ-চাষিরা। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মৌ-চাষিরা এসব মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করেন। মৌ-চাষের মাধ্যমে চাষিরা একদিকে যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন; অন্যদিকে, দূর হচ্ছে বেকারত্ব। এসব সরিষা ফুলের মধু খাঁটি ও সুস্বাদু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানসহ বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। মধু সংগ্রহের জন্য স্টিল ও কাঠ দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি করা হয় বাক্স। যার উপরের অংশটা কালো রঙের পলিথিন ও চট দিয়ে মোড়ানো থাকে। বাক্সের ভেতরে কাঠের তৈরি সাতটি ফ্রেমের সঙ্গে মোম দিয়ে বানানো বিশেষ কায়দায় লাগানো থাকে এক ধরনের সিট। পরবর্তী সময়ে বাক্সগুলো সরিষা ক্ষেতের পাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়।

একাধিক মৌ-চাষি জানান, আমরা সরিষা ক্ষেত থেকে বছরে চার মাস মধু সংগ্রহ করে থাকি। অন্য আট মাস কৃত্রিম পদ্ধতিতে চিনি খাইয়ে মৌমাছি পুষে রাখা হয়। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সরিষা থেকে মধু সংগ্রহের উপযুক্ত সময়। আকার ভেদে একটি বাক্সে ২০ থেকে ৪০ কেজি পর্যন্ত মধু পাওয়া যায়। এখানে মৌ-চাষের বিশেষ বাক্স কলনি রয়েছে ১০০টি। প্রতিটি কলনিতে খরচ হয় আট থেকে ১০ হাজার টাকা। আর প্রতি কেজি মধু বিক্রি করা হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে। এতে প্রতি কলনিতে লাভ হয় প্রায় ৫ হাজার টাকা। অনেকে বলেন, সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌমাছির চাষ হলে সরিষার ফলন ১০ ভাগ বেড়ে যায়। তাই সরিষার ফলনও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সরিষা ক্ষেত থেকে বিনা খরচে মধু সংগ্রহ লাভজনক ব্যবসা। এতে মৌমাছি ব্যবসায়ী যেমন একদিকে মধু বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে, ক্ষেতে মধু চাষ করায় সরিষার ফলনও বাড়ছে। সাতক্ষীরার উৎপাদিত সরিষা ফুলের মধু ভারতে রপ্তানি করা হচ্ছে। গত বছর ২০০ টন মধু দেশটিতে রপ্তানি করেন সাতক্ষীরার মধু রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স শিমু এন্টারপ্রাইজ বছরে ৩০০-৩৫০ টন সরিষা ফুলের মধু ভারতে রপ্তানি করে থাকেন।

গাজীপুরের শ্রীপুরের কৃষক আব্দুল হাশেম জানান, সরিষার আবাদে স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় তারা সরিষার আবাদ করে থাকেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে সরিষার সঙ্গে সঙ্গে মৌমাছির বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করে বাড়তি লাভ হওয়ায় তারা বেশ খুশি এবং লাভবান হচ্ছেন। আগে তারা প্রতি বিঘা জমিতে চার মণ সরিষা পেতেন। এখন সঠিক সময়ে সরিষার ফুলে মৌমাছির পরাগায়ণের ফলে সরিষার ফলন বেড়েছে। ফলন চার মণের জায়গায় ছয় মণ হচ্ছে। ফলন ভালো হওয়ায় এবার আবাদের পরিমাণও বাড়িয়েছেন তারা। তাছাড়া সরিষার সার, বীজ, চাষসহ শ্রমিকের খরচ মধু আহরণের টাকা থেকেই উঠে যায়। উৎপাদিত সরিষার পুরাটাই লাভে থাকে।

বারডেম হাসপালের চিকিৎসক ডা. আতাহার আলী জানান, অনেকে সরিষা মধু জমাকে ভুল বোঝেন। তারা একে ভেজাল মনে করেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে মধু জমে যাওয়া একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। তরল থেকে দানাদার অর্ধ-কঠিন অবস্থায় যাওয়ার এ প্রক্রিয়াকে গ্র্যানুলেশন বা কঠিন মৌচাক থেকে আলাদা করার পর মধু যত দ্রম্নত জমে, চাকের ভেতর মোমের কোষে থাকলে তত দ্রম্নত জমে না। প্রতিটি মধুর স্ফটিকায়নের একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। জমে যাওয়ায় মধুর রং বদলে যায়, তরল থেকে দানাদার হয়ে যায় কিন্তু মধুর গুণগত মান কমে না। সাধারণত সরিষা মধুতে ৭০ শতাংশ এর বেশি শকর্রা বা কার্বোহাইড্রেট ও ২০ শতাংশ এর কম পানি থাকে। তার মানে স্বাভাবিকভাবে পানিতে যে পরিমাণ চিনি দ্রবীভূত হয়, মধুতে তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। চিনির মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ দ্রবণকে অস্থিতিশীল করে। এ কারণেই মধুর জমাট বাঁধা শুরু হয়। পানি থেকে গস্নুকোজ আলাদা হয়। গস্নুকোজ স্ফটিক আকারে জমতে থাকে। আপেক্ষিক আর্দ্রতা ও প্যাকেটজাত করার ধরনও পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। মধুর ধরনের ওপর ভিত্তি করে কক্ষ তাপমাত্রায় স্ফটিকায়ন শুরু হতে কয়েক সপ্তাহ, কয়েক মাস এবং বিরল ক্ষেত্রে কয়েকদিন লাগতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে