সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রীষ্মকালীন ফলে ভরপুর ১৭৫ একর

খাদেমুল ইসলাম
  ২০ মে ২০২৩, ০০:০০

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। প্রতিটি ঋতুর রয়েছে আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য। প্রতিটি ঋতুতে প্রকৃতি সাজে ভিন্নরূপে। যা দেখলে সত্যিই মন ভরে যায়। ঋতু পরিক্রমায় প্রথম আসে গ্রীষ্মকাল। এ সময় দেশের প্রতিটি অঞ্চল ফুল ও ফলে ভরে যায়। যেমন- আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, জামরুল, তাল, গাব, আনারস ও সফেদাসহ নাম না জানা বিভিন্ন প্রজাতির ফল। যেগুলো স্বাদে ও গুণে অনন্য। অন্যান্য জায়গার মতো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কেও প্রকৃতি তার নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছে। চারদিকে ভরে গেছে গ্রীষ্মকালীন ফুল ও ফলে? এর মধ্যে আম, লিচু, কাঁঠাল, তাল, পেয়ারা, আমড়া ও জামরুলসহ বিভিন্ন ফুল ১৭৫ একরের দৃষ্টিনন্দন এই ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যে যোগ করেছে আলাদা মাত্রা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি আম ও লিচু বাগানে রয়েছে অসংখ্য আম ও লিচু গাছ। শেখ রাসেল হলের সামনে ও টিএসসিসির আশপাশের বাগানে রয়েছে প্রায় শতাধিক লিচুগাছ। লিচুর সময় এলেই গাছগুলোতে অসংখ্য লিচু ঝুলতে দেখা যায়। অনুষদ ভবনের পাশে এবং ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবনের পাশে রয়েছে দুটি বিশাল আকারের আমের বাগান। এ ছাড়া বিভিন্ন হল, একাধিক একাডেমিক ভবন ও রাস্তার পাশে রয়েছে কয়েকশ আমগাছ। গ্রীষ্মকালে সেগুলো আমে ভরপুর হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু হলের পুকুর পাড়ের চতুর্দিকে রয়েছে সারি সারি তালগাছ। ইতিমধ্যে সেগুলোতে তাল ধরতে শুরু করেছে। এ ছাড়া এই সময় ক্যাম্পাসের পেয়ারা, জামরুল, জাম, বেল, সফেদা, আমড়া এবং আমলকীগাছগুলোতে ফুল ও ফল আসতে শুরু করেছে।

প্রতিটি ফলের মৌসুমে শিক্ষার্থীরা আলাদা আলাদা ফলের স্বাদ পায় ক্যাম্পাসের এসব ফলগাছ থেকে। কিন্তু কিছু স্থানীয় ও সাধারণ শিক্ষার্থী সেই ফলগুলো পরিপক্ব হওয়ার আগেই গাছ থেকে পেড়ে নেয়। ফলে খাওয়ার উপযোগী হওয়ার আগেই ফলগুলো নষ্ট হয়। এ ব্যাপারে যদি প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে এই ফলগুলো পরিপক্ব হতো এবং খাওয়ার উপযোগী হতে পারত।

ক্যাম্পাসের এই ভরা মৌসুমের অনুভূতি ব্যক্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহমাদ গালিব বলেন, 'এই মৌসুমে আম-লিচু বাগানের ছায়াঘেরা পরিবেশে যেন নতুনভাবে ভালো-লাগা খুঁজে পাচ্ছি। অপেক্ষা যেন শেষ হচ্ছে না কবে জ্যৈষ্ঠের পাকা আম ক্যাম্পাসে খুঁজে পাবো। মধুমাসের এই উচ্ছ্বাস বন্ধুদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পেরেও মন পুলকিত হয়ে উঠছে। আম-লিচুর এই আবেগঘন পরিবেশ মন থেকে মুছে যাবে না কখনোই।'

আরেক শিক্ষার্থী অনিক আহম্মেদ জানান, ক্যাম্পাসের এসব ফলফলাদি দেখে সেই উচ্ছ্বসিত শৈশবের কথা মনে পড়ে যায়। শৈশবে গ্রামের বন্ধুরা মিলে একসঙ্গে গাছ থেকে আম কুড়াতাম, লিচু পাড়তাম। আবারও যেন সেই স্মৃতিছোঁয়া অভিজ্ঞতার সঙ্গে একাট্টা হলাম। তাছাড়া ঋতুভিত্তিক এই আম, কাঁঠাল, লিচুর এই মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্যাম্পাসকে করে তুলছে আরও সুশোভিত। ক্যাম্পাসের চতুর্দিকে কাঁঠালের ভারে গাছগুলো সুশোভিত হয়ে আছে, আমের ঘ্রাণ মোহিত করে তুলছে। তবে লিচুগুলো হাতের নাগালে থাকায় সবাই ভাগাভাগি করে নিয়েছে। আর ফেসবুকে আম-লিচু আর কাঁঠাল সংগ্রহের ছবিগুলো চোখে পড়ছে প্রতিদিন। এ এক মনোরম ক্যাম্পাসে অত্যাধিক আনন্দের অনুভূতি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে