সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ববি ক্যাম্পাসে তারুণ্যের ইফতার

মোহাম্মদ এনামুল হোসেন
  ৩০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

প্রাচ্যের ভেনিসখ্যাত বরিশাল জেলায় অবস্থিত ৫০ একরের ক্যাম্পাস বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। প্রায় ৯ হাজার শিক্ষার্থী, ২০০ শিক্ষক আর দুইশ'রও অধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়মিত চলাচল এখানে। যেখানে প্রতিদিনই তৈরি হয় নতুন নতুন স্মৃতির গল্প। যান্ত্রিক ও ব্যস্তময় জীবনে এই শহরের ক্যাম্পাসে বন্ধুবান্ধব-সহপাঠী কিংবা শিক্ষকের সাক্ষাতে মিলে একমুঠো শান্তির পরশ।

রমজানের দিনগুলোতে রৌদ্রোজ্জ্বল দুপুর পেরিয়ে পড়ন্ত বিকালে সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়তে থাকে তখন চিত্র পাল্টাতে থাকে ববির ৫০ একরের এই ক্যাম্পাসের, যে চিত্র অতিপরিচিত। ক্লাস-পরীক্ষা ও টিউশনির ব্যস্ততা শেষে শিক্ষার্থীরা দলে দলে জড়ো হতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, মুক্তমঞ্চ, হলের ছাদ এবং টিএসসিসহ বিভিন্ন চত্বরে। উদ্দেশ্য সহপাঠী বা সিনিয়রদের নিয়ে এক সঙ্গে ইফতারে অংশগ্রহণ। সাধারণত রমজানের শুরু থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বন্ধ না থাকায় ইফতারের মুহূর্তে প্রাণোচ্ছল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। সচরাচর ইফতারের মেনুতে থাকে- খেজুর, শরবত, ছোলা, বেগুনির চপ, আলুর চপ, জিলাপি, পেয়ারাসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল।

সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণে সৌহার্দ্যের মেলবন্ধনে প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে ইফতারের আয়োজন। রমজানের রোজা মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ইবাদত হলেও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে থাকেন অন্য ধর্মাবলম্বী বন্ধুরাও। ক্যাম্পাসের ইফতার যেন বার্তা দেয় সম্প্রীতি আর ভালোবাসার।

ক্যাম্পাসে ইফতারের অনুভূতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, সারাদিন রোজা শেষে বন্ধুদের সঙ্গে ক্যাম্পাসে এক সঙ্গে ভাগাভাগি করে ইফতার করার মুহূর্তের আনন্দ, একদিন আমাকে স্মৃতিকাতর করে তুলবে। পরিবার পরিজন থেকে শত শত মাইল দূরের বিবর্ণ ইফতার সহপাঠীদের সঙ্গে করার জন্য ক্ষণিকের জন্যও বিবর্ণ মনে হয় না। ক্যাম্পাসে সহপাঠীদের সঙ্গে ইফতার এক অন্যরকম অনুভূতির।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী বারিউজ্জামান বিপু বলেন, ইফতারকে কেন্দ্র করে খেলার মাঠে একটি উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শুধু মুসলিম নয় অন্য ধর্মের বন্ধুরাও ইফতারে অংশগ্রহণ করে। এটা দেখতে আসলেই অনেক সুন্দর লাগে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে