সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
কিশোর কবিতা

বর্ণমালার পদ্য

খসরু পারভেজ
  ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

'অ'-তে লিখি অনেক কথা 'আ'-তে লিখি আশা 'ই'- কারেতে ইচ্ছে আমার জোগায় ভালোবাসা। 'ঈ'- যে যায় ঈদের মাঠে 'উ'- যায় যে উড়ে উনিশের কাছে 'ঊ'-যে নেই 'ঋ'-কে মরি ঢুড়ে। 'এ'- তে একুশ-ফেব্রম্নয়ারি জ্বলজ্বলে দিন ওই 'ও'-কে ডেকে 'ঔ'- যে বলে ওষুধ দিলে কই! 'ক'-তে আছে কাব্য কথা, 'খ'- তে লেখার খাতা 'গ'- এর পরে 'ঘ'- যে আসে 'ঙ'-র রঙিন ছাতা 'চ'-কে ডাকে চাঁদমামাটা, 'ছ'- যে ছকে বন্দি 'জ'-এর কোনো জট থাকে না, ছড়ায় ছড়ায় সন্ধি। ঝুঁকে পড়ে 'ঝ'- যে আমার 'ঞ'-এর ঘাড়ে ঝোলে 'ট'-যে তখন গুনছে টাকা, 'ঠ'-যে ঠোঙ্গা খোলে। 'ড'- ক ডাহুক পাখি, 'ঢ'- যে বাজায় ঢোল 'ণ'-তে মধুর বাণী, 'ত'-এ তবলার বোল। তা তা থৈ থৈ 'থ' যে নাচে 'দ'-এর সে দুপুরে 'ধ'- যে নাচে ধানের মাঠে 'ন'- নূপুরে। পথের উপর 'প'-এর পরশ, 'ফ'-তে ফোটে ওই ফুলে 'ব'-তে লেখা বাঙলা আমার দাঁড়ায় মাথা তুলে। 'ভ'-এর এত ভালোবাসা কোথায় গেলে পাই! 'ম'-এ ডাকি মাকে আমার, যার তুলনা নেই। 'য'-তে মনের কথা যত্নে তুলে রাখি; 'র'-এর সঙ্গে রং মিশিয়ে ভাষার ছবি আঁকি। 'ল'- তে যে লাল পলাশ ফোটে, ভাষায় ফোটে গান; বর্ণমালার সব বর্ণ ভাই জুড়ায় আমার প্রাণ। 'শ'-এর শত শরীরজুড়ে হরেক রকম ছবি 'ষ'-এর শেষ যে কোথায় খুঁজে বেড়ায় কবি। 'স'-এর সঙ্গে সঙ্গ,'হ'-এর সঙ্গে হাসি বাংলা আমার প্রাণের ভাষা তারে ভালোবাসি। 'ড়'-তে শিখি বাঁচার লড়াই, 'ঢ়'-এর দৃঢ় প্রত্যয় 'য়'-তে হয় সূর্য উদয়, ভয়কে করি জয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে