ঘাঘটের তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা গ্রামটায়
খইরঙা হাঁসগুলো রোজ এসে সাঁতরায়
ধুন্দল বীজে ভরা উঠোনের চারপাশ
তিরতির বাতাসে কেঁপে ওঠে মুথা ঘাস।
দুপুরের রোদে পথ ফেটে হয় চৌচির
ব্যস্ততা নেই কোনো প্রকৃতিটা স্বস্তির
ঘুঘু ডাকে, কানা বক ডানা মেলে উড়ে যায়
মাটি থেকে তিসিদানা মুরগিরা কুঁড়ে খায়।
দরজার সিটকিনি খুললেই দেখা যায়
পুঁইপাতা দোল খায়, মাচান ও জাইংলায়
কাঁঠালের পাতাগুলো কি দারুণ! মর্মর
মাঝ নদী শুকে কাঠ, ধুধু করে বালুচর।
তেঁতুল পাতার ফাঁকে সূর্যটা চিকচিক
সন্ধ্যায় জোনাকির আলো ছড়ে চারদিক
ঝাউবনে ঝিঝিপোকার কলরব, গুঞ্জন
কলাপাকা ধান ক্ষেতে মোরগের উন্মন।
কি দারুণ, অপরূপ! এ গাঁয়ের মাঠ-ঘাট
রাস্তার পাশে বসে সুপারির বড় হাট
কাদামাটি ত্যাকত্যাকে সোনাফলা ঘ্রাণ তার
জলেভরা মধুমতী গরু করে পারাপার।
ঢেউটিনে বৃষ্টির ফোটা পড়ে ঝমঝম
দোয়েলেরা খুব ভোরে গান গায় হরদম
কাউলির বিলে ভরা কেশরের স্তূপ
দেখে মন ভরে যায়, বাংলার এই রূপ!