রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সচেতনতাই ডায়াবেটিস ঠেকাতে পারে

সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
  ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

সচেতন থাকলে ডায়াবেটিসের ঝুঁঁকি কমানো যায়, আবার নিয়ন্ত্রণও করা যায়। একসময় বলা হতো, ডায়াবেটিস বড়লোকের রোগ, কিন্তু আক্রান্ত মানুষের চার ভাগের তিন ভাগই নিম্ন ও নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের নাগরিক। বাংলাদেশেও দ্রম্নত হারে বাড়ছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা।

অসংক্রামক রোগের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস অন্যতম; তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ডায়াবেটিস প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষের মৃতু্যর কারণ। কোভিড মহামারিকালে এই সত্য আরও প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে। কোভিড আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদেরও একটি বড় অংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। এ ছাড়া ডায়াবেটিসের দীর্ঘস্থায়ী জটিলতায় (যেমন হৃদ্‌রোগ, কিডনি রোগ, চোখের রোগ, স্নায়ু রোগ, গর্ভকালীন জটিলতা ইত্যাদি) কয়েক গুণ বেশি মানুষের অকালমৃতু্য হয়।

ডায়াবেটিস রোগীর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হলে সবচেয়ে বেশি যা দরকার, তা হলো রক্তের গেস্নাকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা, তা বোঝার বা পরিমাপের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য পরীক্ষা হলো রক্তের 'এইচবিএওয়ানসি' পরীক্ষা- যা বিগত ৩-৪ মাসের নিয়ন্ত্রণের গড় হিসাবকে নির্দেশ করে। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য গড়পড়তা এইচবিএওয়ানসির লক্ষ্যমাত্রা হলো ৭ শতাংশ। এ ছাড়া নিয়মিত বাড়িতে রক্তের শর্করা মাপার বিকল্প নেই।

ডায়াবেটিস ঠেকানো

কিন্তু বেশির ভাগ রোগীই এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কমবেশি ব্যর্থ। বাংলাদেশের বেলায় তা আরও হতাশাব্যঞ্জক। গবেষণা বলছে, বাংলাদেশের ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগীর নিয়ন্ত্রণ লক্ষ্যমাত্রার বাইরে। অথচ সবাই সমান সুযোগ পেলে বা সচেতন হলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব। বাংলাদেশের একটি বড়সংখ্যক ডায়াবেটিস রোগী আর্থ-সামাজিক কারণে ও সচেতনতার অভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়ে যাচ্ছেন। সে জন্যই সবার জন্য বা সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার কথা জোর দিয়ে বলা হচ্ছে।

ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যেটিকে প্রতিরোধ করার যথেষ্ট সুযোগ আছে (প্রতি দুজনে একজনের ক্ষেত্রে)। কিন্তু একবার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে বাকি জীবন ডায়াবেটিস নিয়েই কাটাতে হবে এবং আতঙ্কের সঙ্গে প্রহর গুনতে হবে যে, কখন ডায়াবেটিসসংক্রান্ত জটিলতাগুলো দেখা দেয়। তাই সর্বস্তরের মানুষকে জেনে বুঝে সচেতনভাবে ডায়াবেটিস প্রতিরোধের কর্মযজ্ঞে নিজের সামর্থ্য অনুসারে অংশগ্রহণ করতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ে নিরন্তর গবেষণা চলছে, নতুন নতুন ওষুধ যেমন আবিষ্কৃত হয়েছে, তেমনই প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনার কৌশলও পরিবর্তিত হচ্ছে। কিন্তু সব কর্মকান্ডের কেন্দ্রে আছে বর্তমানে ডায়াবেটিসের রোগী ও ভবিষ্যতে যাদের ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা আছে।

বাংলাদেশের মতো মধ্যম আয়ের দেশে ডায়াবেটিস চিকিৎসা যেমন জরুরি, তার চেয়ে বেশি জরুরি ডায়াবেটিস প্রতিরোধের সর্বাত্মক সুগভীর কর্মকান্ড। রাষ্ট্রকে ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে এ কাজে নেতৃত্ব দিতে হবে, যাতে সর্বস্তরের মানুষকে যুক্ত করা সম্ভব হয়। পাঠ্যসূচি থেকে শুরু করে নগর-পরিকল্পনা, বিদ্যালয় স্থাপনসহ সব ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস প্রতিরোধসহ মেটাবলিক রোগগুলো নিয়ন্ত্রণের কাঠামোগত উন্নতি করতে হবে।

আপনি কি ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছেন

আপনার ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁঁকি কতটুকু, তা জানতে আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইটে (িি.িফরধনবঃবং.ড়ৎম>ৎরংশ) গিয়ে কিছু ব্যক্তিগত তথ্য দিলেই তার জবাব পাবেন। যে বিষয়গুলো আপনার ঝুঁঁকি বাড়ায়, তা হলো-

দ্ব বয়স ৪০ বছরের বেশি

দ্ব পরিবারে মা-বাবা বা নিকটাত্মীয়র ডায়াবেটিসের ইতিহাস

দ্ব ওজনাধিক্য বা স্থূলতা, বিশেষ করে শরীরের মধ্যভাগে চর্বির পরিমাণ বেশি (অ্যাবডোমিনাল ওবেসিটি)

দ্ব নারীদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ইতিহাস

দ্ব কায়িক শ্রমের অভাব বা অলস জীবনযাপন

দ্ব প্রি ডায়াবেটিস বা বর্ডার লাইন ডায়াবেটিসের ইতিহাস

দ্ব রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড বেশি, এইচডিএল কম যাদের

দ্ব যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে

ডায়াবেটিস কী প্রতিরোধ করা যায়?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেষ্ট ও সচেতন হলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রায় ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে প্রতিরোধ করা সম্ভব। কীভাবে তা করবেন?

দ্ব সুষম স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন

দ্ব নিয়মিত ব্যায়াম করুন ও শারীরিকভাবে সচল থাকুন

দ্ব আদর্শ ওজন বজায় রাখুন

দ্ব যাদের পারিবারিক ইতিহাস বা অন্যান্য ঝুঁকি আছে, তারা নিয়মিত রক্তের শর্করা মাপুন।

পুরুষের ডায়াবেটিসের ১০ উপসর্গ

ত্বকে কালো দাগ

আপনার ভেতরকার স্বাস্থ্যের জানালা হচ্ছে, আপনার ত্বক। ত্বকে প্রকাশিত সব ধরনের লক্ষণের ব্যাপারে সচেতন থাকুন। ডায়াবেটিসের লক্ষণও ত্বকে প্রকাশ পেতে পারে। আপনার গলার পেছনে, কুঁচকি কিংবা বগল নোংরা দেখাতে পারে, কিন্তু এসব স্থানে ডার্ক প্যাচ বা কালো দাগ বা কালো আবরণ প্রকৃতপক্ষে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের উপসর্গ। একে অ্যাকেনথোসিস নিগ্রিকেন্স (এএন) বলে। এন্ডোক্রাইন সোসাইটির অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড পাবলিক আউটরিচ কোর কমিটির চেয়ারম্যান, নিউইয়র্ক সিটির সেন্ট জোসেফ'স কলেজের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং সার্টিফায়েড ডায়াবেটিস এডুকেটর মারগারেট ইকার্ট-নরটন বলেন, 'ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হরমোনও ত্বকের লক্ষণে অবদান রাখে বলে ধারণা করা হয়।' তিনি যোগ করেন, এটি (অ্যাকেনথোসিস নিগ্রিকেন্স) এমন কিছু যা ধীরে ধীরে কয়েক বছর ধরে বিকশিত হওয়ার প্রবণতাযুক্ত।' অ্যাকেনথোসিস নিগ্রিকেনসের চিকিৎসা এর মূল কারণ চিহ্নিতকরণের সঙ্গে জড়িত- এ ক্ষেত্রে রক্ত শর্করার মাত্রার ওপর নিয়ন্ত্রণ পুনরায় অর্জন করতে হবে।

পেনিসের অগ্রভাগ লাল ও স্ফিত হয়-

আপনার যে টাইপ২ ডায়াবেটিস আছে তা জানান দিতে অনেক সতর্কীকরণ উপসর্গ রয়েছে, যেমন- ইরেক্টাইল ডিসফাংকশন বা লিঙ্গ উত্থিত না হওয়া। যখন আপনার অনিয়ন্ত্রিত রক্ত শর্করা থাকবে, আপনি ব্যালানাইটিসের ঝুঁকিতে থাকবেন। পেনিসের অগ্রচর্ম ও অগ্রভাগ ফুলে যাওয়াকে ব্যালানাইটিস বলে। এর ফলে ব্যথা হতে পারে, অথবা ডিসচার্জ হতে পারে। আপনার প্রস্রাবের রক্ত শর্করা ব্যাকটেরিয়া ও ইস্ট জন্মানোর জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। আপনার ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন, যিনি আপনাকে এ জায়গা পরিষ্কার রাখার সর্বোত্তম উপায় বলে দেবেন এবং চিকিৎসা হিসেবে কোনো অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বা অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম রিকমেন্ড করতে পারেন।

শেভিং ক্ষত দ্রম্নত সারে না

আপনার মুখে শেভিং করার সময় সৃষ্ট ক্ষত ক্ষুদ্র সেরে ওঠতে দেরি হলে তা ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। ইকার্ট-নরটন বলেন, 'আপনার শর্করা ক্ষতস্থানে আসার ফলে ক্ষত সেরে ওঠতে বিলম্ব হয়।' আপনার দাড়ির গ্রন্থিকোষের জায়গায় আপনি শেভিং বাম্প এবং হোয়াইট হেডও লক্ষ্য করতে পারেন। ইকার্ট-নরটন বলেন, 'যখন আপনার টাইপ২ ডায়াবেটিস থাকবে, আপনার মুখের তৈল গ্রন্থিও লো-গ্রেড ইনফেকশনের কারণ হবে।'

হাত ও পায়ে ব্যথা ও অসাড়তা

টাইপ২ ডায়াবেটিসের অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে নার্ভ ড্যামেজ, যাকে পেরিফেরাল ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি বলে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, 'আপনি রণন অনুভব করতে পারেন, অথবা পায়ে পিন ও সুঁচ বিদ্ধ হওয়ার মতো যন্ত্রণা অনুভব করতে পারেন, কিংবা ব্যথা, অসাড়তা ও দুর্বলতা অনুভব করতে পারেন।' এসব অনুভূতি প্রথম দিকে পায়ে হলেও পরবর্তী সময়ে হাতেও হতে পারে। ব্যথা এবং অসাড়তা হ্রাস করতে রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

খুব তৃষ্ণা পায়

টাইপ২ ডায়াবেটিসের কমন উপসর্গ হচ্ছে তৃষ্ণা পাওয়া, প্রকৃতপক্ষে এটি অন্তত ৮টি মেডিকেল সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। আপনি লক্ষ্য করে থাকবেন যে পানি খাওয়ার পরও আপনার তৃষ্ণা নিবারণ হচ্ছে না। ইকার্ট-নরটন বলেন, 'রক্ত শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির কারণে এ রকম হচ্ছে- যা অতিরিক্ত শর্করা বের করে দেয়ার জন্য কিডনিকে চাপ প্রদানের মাধ্যমে অধিক প্রস্রাব উৎপাদনের ফল।' অধিক প্রস্রাব উৎপাদন হলে আপনি বেশি করে মূত্রত্যাগ করবেন, যা আপনাকে ডিহাইড্রেশনের দিকে ধাবিত করবে এবং আপনি বেশি করে পানি পান করতে চাবেন। যদি আপনি ঘনঘন প্রস্রাব করেন কিংবা অধিক তৃষ্ণা অনুভব করেন, তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

চোখে ভাসন্ত কালো বিন্দু দেখা যায়

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস চোখের ক্ষতি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আই ইনস্টিটিউটের মতে, 'উচ্চ রক্ত শর্করা রেটিনায় রক্তনালির ক্ষতি করে রক্তপাত ঘটায় এবং ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির দিকে ধাবিত করে।' আপনার দৃষ্টির সামনে বস্ন্যাক ফ্লোটিং স্পট বা ভাসন্ত কালো বিন্দু লক্ষ্য করতে পারেন এবং আপনার দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে। আপনার মধ্যে টাইপ২ ডায়াবেটিসের এসব লক্ষণ দেখা দিলে সম্পূর্ণ চক্ষু পরীক্ষার জন্য ডাক্তারের কাছে যান। চোখের সুস্থতা নিশ্চিত করতে আপনার প্রতি বছর অন্তত একবার চক্ষু পরীক্ষা করা প্রয়োজন হবে।

ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া

আপনার ব্যাখ্যাতীত খুব ক্ষুধা পেলে তা হতে পারে টাইপ২ ডায়াবেটিসের উপসর্গ। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের মানে হচ্ছে শরীরের কোষে শর্করা পৌঁছানো কঠিনতর হয়ে যাওয়া, যেখানে এটি শক্তি উৎপাদন করে। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে আপনার শরীর অধিক ইনসুলিন উৎপাদন করে এবং এটি আপনার ক্ষুধা জোরদার করে ও আপনার মধ্যে খাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে উদ্দীপিত করে। ইকার্ট-নরটনের মতে, এভাবেও ওজন বৃদ্ধি পায়। তিনি যোগ করেন, কিছু রোগী ডেস্কে ক্যান্ডি বার রাখে, যখন তারা নিম্ন রক্ত শর্করা অনুভব করে তখন তারা ক্ষুধা নিবারণে তা খায়। সমস্যা হচ্ছে তারা অত্যধিক খাওয়া এবং অনুপযুক্ত ধরনের খাবারের (যেমন- ক্যান্ডি বার) দিকে ঝুঁকে যা শরীরের জন্য ভালো নয়।

মেজাজ খারাপ হওয়া

নিম্ন রক্ত শর্করা দ্বারা উদ্দীপিত সমস্যাসমূহের মধ্যে বেশ পরিচিত একটি সমস্যা হচ্ছে, মুড ডিসঅর্ডার বা মেজাজ খারাপ হওয়া। ২০১২ সালে ডায়াবেটোলজি অ্যান্ড মেটাবলিক সিন্ড্রোমে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে জানা যায়, যেসব পুরুষের টাইপ২ ডায়াবেটিস ছিল তাদের মেজাজ সুস্থ পুরুষদের চেয়ে বেশি বিষণ্ন ছিল। খোশমেজাজ বজায় রাখার জন্য রক্ত শর্করার ভারসাম্য গুরুত্বপূর্ণ। যখন ভারসাম্যের পতন হয়, নিম্ন রক্ত শর্করা মেজাজকে খিটখিটে বা খারাপ করতে অবদান রাখতে পারে।

দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত ঝরা

মৌখিক স্বাস্থ্যবিধির শীর্ষে থাকার একটি কারণের কথা হয়তো আপনি শুনে থাকবেন, এটি হচ্ছে- দাঁতের মাড়ির সমস্যা আপনাকে হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকিতে রাখতে পারে। আপনার দাঁত আপনার শরীরের অনেক সমস্যার কথা প্রকাশ করতে পারে এবং তাদের একটি হচ্ছে ডায়াবেটিস। মাড়ির রোগ হচ্ছে পুরুষদের ডায়াবেটিসের একটি উপসর্গ। যেসব লোকদের ডায়াবেটিস আছে তাদের মধ্যে পিরিয়ডোনাইটিস (একটি ইনফেকশন যা মাড়ির ক্ষতি ও দাঁত ক্ষয়ের কারণ) বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা ডায়াবেটিস না থাকা লোকদের তুলনায় তিনগুণের বেশি। মাড়ি লাল হওয়া, ফুলে যাওয়া এবং মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া হচ্ছে পিরিয়ডোনাইটিসের কয়েকটি লক্ষণ। এ রকম হলে ডেন্টিস্টকে দেখানো খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং একে নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। এই ইনফেকশন অন্যভাবেও কাজ করতে পারে এবং রক্ত শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে।

মাথা ঝিমঝিম করে বা মাথা ঘোরে

যখন আপনি ডায়াবেটিসের সম্ভাব্য উপসর্গের কথা চিন্তা করবেন, আপনার মনে মাথা ঝিমঝিম করা বা মাথা ঘোরার বিষয়টি নাও আসতে পারে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি ডায়াবেটিসের একটি উপসর্গ এবং কমপক্ষে ৮টি মেডিকেল কারণে আপনার মাথা ঝিমঝিম করতে পারে বা মাথা ঘুরতে পারে। আর্কাইভস অব ইন্টারন্যাল মেডিসিনের ২০০৯ সালের এক গবেষণা মতে, 'ইনার ইয়ার ডিসঅর্ডার (যা মাথা ঝিমঝিম করা বা ঘোরা ও মাথার ভারসাম্যহীনতা হিসেবে দেখা দিতে পারে) টাইপ২ ডায়াবেটিস না থাকা লোকদের তুলনায় টাইপ২ ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ বেশি ছিল।' ডায়াবেটিস ক্ষুদ্র রক্তনালিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যে কারণে কানের ভেতরের স্ট্রাকচারে রক্তপ্রবাহ বিঘ্নিত হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে