সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষেপ

আইন ও বিচার ডেস্ক
  ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

ভারতের পানজিম আদালতে চোরের হানা

আদালতে চুরি। খোয়া গেল বিভিন্ন মামলায় আদালতে প্রমাণ হিসেবে রাখা নগদ টাকা। অথচ ঘুণাক্ষরেও টের পেলেন না আদালতের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গোয়া রাজ্যের রাজধানী পানজিমের জেলা ও দায়রা আদালতে।

জানা গিয়েছে, মঙ্গল এবং বুধবার গভীর রাতে চোর হানা দেয় পর্তুগিজ আমলে তৈরি আদালত ভবনে। কড়া প্রহরা এড়িয়ে চোর পৌঁছে যায় আদালতের এভিডেন্স রুমে (যেখানে মামলায় দেখানোর জন্য তথ্যপ্রমাণ জমা রাখা হয়। অনেক সময় পুলিশ বিভিন্ন জায়গা থেকে নগদও বাজেয়াপ্ত করে। তারও কিছু অংশ মূলত আদালতের সামনে তুলে ধরার জন্য এই ধরে রাখা থাকে।) এভিডেন্স রুমের বাইরে সর্বদা পাহারা থাকে। কিন্তু কেউ ঘুণাক্ষরেও কিছু টের পাননি। পুলিশ সূত্রে খবর, চোর এভিডেন্স রুমে ঢুকে নগদ টাকা এবং তথ্যপ্রমাণ নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু ঠিক কত টাকা খোয়া গিয়েছে তা জানায়নি পুলিশ। বিল্ডিংয়ের পেছনের দিকের একটি জানালা ভেঙে আদালতে ঢুকেছিল চোর।

ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে গোটা পানজিমে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও কীভাবে চুরি হলো? ওই এভিডেন্স রুমের বাইরে পাহারায় ছিলেন যে পুলিশ কর্মী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

জিন্স পরে শুনানির জন্য এজলাসে, কি পরিণতি হলো আইনজীবীর?

ম আইন ও বিচার ডেস্ক

জিন্স পরে শুনানির জন্য কোর্ট রুমে আসায় ভারতের গুয়াহাটি হাইকোর্টের এক প্রবীণ আইনজীবী বিচারপতির নিশানায়। তাকে বের করে দেওয়া হলো আদালত চত্বর থেকে। আর পরবর্তী এক সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে গেল ওই মামলার শুনানি।

প্রবীণ আইনজীবী বি কে মহাজন আদালতের ড্রেস কোড না মানায় শনিবার বিচারপতি কল্যাণ রাই সুরানা এই পদক্ষেপ নেন। পুলিশকে তিনি নির্দেশ দেন ওই আইনজীবীকে আদালত চত্বরের বাইরে বের করে দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি, বিষয়টি গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং রেজিস্ট্রার জেনারেলের নজরে আনার কথা জানান।

গুয়াহাটির পাশাপাশি নাগাল্যান্ড, মিজোরাম এবং অরুণাচল প্রদেশের বার কাউন্সিলকেও ড্রেস কোড না মানার এই ঘটনা অবহিত করার কথা জানান বিচারপতি সুরানা। গুয়াহাটি হাইকোর্ট সূত্রের খবর, একটি ফৌজদারি মামলার জামিনের আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল শনিবার। সেই মামলার আইনজীবী হিসেবেই শুনানিতে এসেছিলেন মহাজন।

গর্ভপাতে নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ

নয় :দিলিস্ন হাইকোর্র্ট

ম আইন ও বিচার ডেস্ক

নাবালিকার গর্ভপাতের ক্ষেত্রে পুলিশকে দেওয়া ডাক্তারি রিপোর্টে তার পরিচয় জানানোর প্রয়োজন নেই বলে রায় দিলেন দিলিস্নর হাইকোর্ট। নথিবদ্ধ চিকিৎসকদের রিপোর্টে নাবালিকা বা তার পরিচয় জানানোর প্রয়োজন নেই, এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করতে দিলিস্ন সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পকসো আইন অনুযায়ী, নাবালক-নাবালিকার বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের রিপোর্ট পুলিশ বা নাবালকদের জন্য তৈরি বিশেষ ইউনিটকে জানান চিকিৎসকরা। কিন্তু সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নাবালক-নাবালিকাদের মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্কের কথা পুলিশকে জানানো থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে নথিবদ্ধ চিকিৎসকদের। দিলিস্ন হাইকোর্টের বিচারপতি প্রতিভা সিংহ রায়ে জানান, এখন নাবালিকার পরিচয় না জানিয়ে ও পুলিশকে রিপোর্ট না দিয়ে গর্ভপাত করতে চান না নথিবদ্ধ চিকিৎসকরা। কিন্তু সে ক্ষেত্রে নাবালিকা ও তার পরিজনের পরিচয় প্রকাশ এড়াতে নথিবদ্ধ নয় এমন চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন। আদালতের দ্বারস্থও হতে পারেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে