সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

সঙ্গীর সঙ্গে মতপার্থক্য হলে ধর্ষণবিরোধী আইনকে অনেক সময় হাতিয়ার করা হচ্ছে :উত্তরাখন্ড হাইকোর্ট

আইন ও বিচার ডেস্ক
  ০১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

সঙ্গীর সঙ্গে মতপার্থক্য হলে ধর্ষণবিরোধী আইনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন মেয়েরা। একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে এমন পর্যবেক্ষণের কথা জানাল উত্তরাখন্ড হাইকোর্ট। সম্মতির ভিত্তিতে যৌনসম্পর্ক থাকলে এবং বিয়ের প্রতিশ্রম্নতি রক্ষিত না হলেও তাকে যে ধর্ষণ বলা যাবে না, এই কথা আগেই জানিয়েছিল দেশের একাধিক হাইকোর্ট। এমনকি সুপ্রিম কোর্টও জানিয়েছিল, দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সম্পর্ক বিয়ে অবধি না গড়ালে, তাদের মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে তৈরি হওয়া শারীরিক সম্পর্ককে ধর্ষণ বলা যাবে না। উত্তরাখন্ড হাইকোর্টও প্রায় একই পর্যবেক্ষণের কথা জানাল।

গত ৫ জুলাই এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হওয়া ধর্ষণের মামলা খারিজ করে দেয় উত্তরাখন্ড হাইকোর্ট। এক মহিলা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৩০ জুন অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৫ সাল থেকে তাদের দু'জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক ছিল। অভিযোগকারিণীর দাবি মোতাবেক, অভিযুক্ত প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিলেন যে, চাকরি পেয়ে তিনি বিয়ে করবেন। কিন্তু পরে অন্য এক মহিলাকে ওই ব্যক্তি বিবাহ করেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগকারিণীর বক্তব্য, তারপরেও তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামীর স্ত্রীকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, নতুন অভিযোগ মণিপুরে

এই প্রসঙ্গেই উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'পুরুষ সঙ্গী বিবাহিত জেনেই অভিযোগকারিণী স্বেচ্ছায় তার সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিলেন। সে ক্ষেত্রে সম্মতির বিষয়টি এখানে সর্বদাই ছিল।' এই প্রসঙ্গেই উত্তরাখন্ড হাইকোর্টের বিচারপতি শরদকুমার শর্মার বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, 'ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬ নম্বর অনুচ্ছেদ (ধর্ষণবিরোধী আইন)-এর অপব্যবহার করছেন কেউ কেউ।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে