সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁকখালী নদীর অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে রিপোর্ট দিতে আদালতের নির্দেশ

আইন ও বিচার ডেস্ক
  ১০ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের সঙ্গে কারা জড়িত, কত ঘনফুট বালু উত্তোলন করেছে, সরকার ও পরিবেশের কি পরিমাণ ক্ষতি করেছে, তা নিরূপণ করে তদন্তপূর্বক বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কক্সবাজারের পুলিশ বু্যরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

'দৈনিক কক্সবাজার' পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় গত ১ অক্টোবর 'বাঁকখালীর ডজন পয়েন্টে ড্রেজার মেশিনের থাবা' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কক্সবাজারের ১ নম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গাঁ ২ অক্টোবর এ নির্দেশ দেন।

দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকায় উলিস্নখিত শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি বিজ্ঞ আদালতের নজরে আসার পর ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০(১)(সি) ধারা অনুযায়ী বিজ্ঞ আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নেন। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাঁকখালী নদীর ২ পাড়ে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ১০/১২টি সংঘবদ্ধ শক্তিশালী চক্র দেদারসে বালু উত্তোলন করে আসছে। এজন্য নদীর তীরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।

বিশেষ করে চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে বাঁকখালী নদীর দুই তীরের বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়ে জনবসতিতে বন্যার পানি আঘাত হানে। বালু উত্তোলনের কারণে স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতেও নদীর দুই তীরের জনবসতি পস্নাবিত হয়।

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গাঁ দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকার এ গুরুত্বপূর্ণ সংবাদটি পর্যালোচনা করে একটি মিস মামলা রজু করেন। যার নম্বর : ০১/২০২৩। বিচারক তার আদেশে বলেন, বাঁকখালী নদীর দুই পাড়ে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে এলাকাবাসী হুমকিতে রয়েছে এবং পরিবেশগত চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। যা ২০১০ সালের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ৪ ধারার অপরাধ সংগঠিত হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে। যা তদন্ত হওয়া খুবই প্রয়োজন।

কিন্তু অপরাধসমূহ সুনির্দিষ্টভাবে আরও কাদের দ্বারা সংগঠিত হচ্ছে, তাদের বিস্তারিত নাম ঠিকানা, সাক্ষীদের নাম, ঠিকানা দৈনিক কক্সবাজারের প্রতিবেদনে উলেস্নখ নেই। আদালতের বিচারক শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গাঁ তার আদেশে আরো বলেন, অপরাধটি কাদের দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে, তা প্রাথমিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে নিরূপণ ও তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের শনাক্ত করা প্রয়োজন। এজন্য সার্বিক পর্যালোচনা করে বিষয়টি তদন্তপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই (পুলিশ বু্যরো অব ইনভেস্টিগেশন) কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে