মহিলার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন যুবক। তার আবেদনে সাড়া দিয়ে হাইকোর্ট বিয়েবিচ্ছেদ মঞ্জুর করেছে। স্ত্রীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। পারিবারিক আদালত বিচ্ছেদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। তারপর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে যুবক দিলিস্নর হাইকোর্টে আবেদন জানান।

বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত এবং বিচারপতি নীনা বনসল কৃষ্ণার ডিভিশন বেঞ্চ নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে। যুবককে বিয়েবিচ্ছেদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, কোনো ব্যক্তি স্বামী হিসেবে খারাপ হতে পারেন। কিন্তু একই সঙ্গে তিনি বাবা হিসেবেও খারাপ হবেন, এটা ধরে নেওয়া উচিত নয়। দম্পতির মধ্যে যতই অশান্তি হোক, যতই মনের অমিল থাক, তার পরিপ্রেক্ষিতে তারা সন্তানকে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন না।

আদালত আরও জানিয়েছে, স্বামীর নামে সন্তানের কাছে নিন্দা করে বাবা-মেয়ের সম্পর্ককে বিষিয়ে দেওয়া ঘোর মানসিক নির্যাতনের শামিল। একে সমর্থন করা যায় না। মায়ের এই আচরণ শিশুর পক্ষেও অমানবিক।

চেক ডিসঅনার মামলা দায়েরে আদালতের অধিক্ষেত্রের প্রাসঙ্গিকতা

বস্তুত, দিলিস্নর ওই দম্পতি ১৯৯৮ সালে বিবাহিত জীবন শুরু করেছিলেন। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে যুবক আদালতে বিয়েবিচ্ছেদের আবেদন জানান।

তার বিরুদ্ধে তার স্ত্রীর অভিযোগ, যুবক পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই খবর পেয়ে মহিলা তাদের ছোট মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে সংশ্লিষ্ট ভাড়া বাড়িতে যান। পুলিশকেও খবর দেন।

মহিলার বক্তব্য শুনে আদালত জানিয়েছে, এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। মহিলা শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও নিজের আবেগকে বশে রাখতে পারেননি। স্বামীর বিরুদ্ধে ভুয়া অভিযোগ এনেছেন তিনি। তার অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সর্বোপরি, আট বছরের শিশুকন্যাকে এই দাম্পত্যকলহের সঙ্গে যুক্ত করা মহিলার উচিত হয়নি বলে জানিয়েছেন আদালত।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, মহিলার আচরণ প্রমাণ করে, তিনি আদৌ সম্পর্কে মানিয়েগুছিয়ে থাকতে আগ্রহী নন। তিনি গুরুতর কোনো কারণ ছাড়াই নিজের বিবাহিত জীবন থেকে সরে এসেছেন। সেই কারণেই বিয়েবিচ্ছেদের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতিরা।