পরাজিত হতে হতে আমার অস্তিত্ব বলতে কিছু নেই
জীবনযুদ্ধে বৃত্যের ফসল হারিয়ে শূন্য গোলাঘর নিয়ে
সর্বশেষ দেয়ালটায় পিঠ ঠেকিয়ে পাথর-মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছি।
যেখানে কবিতা হওয়ার কথা সেখানে অপ্রকাশিত হাইফেন।
মানুষের পায়ের কাছে নত হতে হতে কত পা স্বর্গ বানিয়ে দিলাম।
আর আমি পরাজয় গস্নানি মাথায় নিয়ে দুর্বিষহ দিনাতিপাত
পৃথিবীর দ্বিধাবিভক্ত সংকটাপন্ন ঘরে বারবার আয়োজন ব্যাপৃত বিশাল।
এই আয়োজনে আমি একটি ছাইবিন্দুও নই,
কোথায় কীভাবে নিজের কাছে নিজে নিরুদ্দেশ হয়ে আছি
সে-কথা জানে না কেউ।
না বৃক্ষ, না পশু-পাখি, না সমুদ্র, না পাহাড়-পর্বত,
একমাত্র মিনতি ছিল আকাশের কাছে।
সে-ও নত হলো উদ্ভ্রান্ত মানুষের বিভ্রান্ত পদচারণায়
মুগ্ধতার হাসি হেসে না সূর্য কিছু বলতে পারে না চাঁদ
অথচ চাঁদ-সূর্যের শক্তি কতটা প্রখর ও প্রেমময় ছিল সবার জানা।
মানুষের বিভাজিত রূপবৈশিষ্ট্য আর অসুস্থতা প্রতিযোগিতায়
মস্নান করে দিয়েছে মৃত্তিকা ও অগ্নিমান্দ্য ফসল
এই সব হা-হুতাশের মধ্যে পরাজিত হওয়া ছাড়া
আর কোনো পথ খোলা দেখতে পাইনি
একটি জীবন হবার কথা ছিল একটি মহাকাব্য অথবা কাব্যসমগ্র
বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করে দেখি পৃথিবী-পৃষ্ঠায় একটি ফুলস্টপ।