ঝোপঝাড়ের অন্তঃস্থল থেকে ঝলমল করে উঠলো আলোপোকা
শেয়ালেরা বালাজন নদীর চড়ায়
এদিকে চাবির গোছার মতো ধানের শীষে
ভাঙা নৌকার পাটাতনে নেমে এসেছে আঁধার
গভীর রাতের খোঁপা থেকে ঝরে পড়বে সৌরভ
প্রিয়তমা ভেসে যাবে জনপদের স্বচছ প্রবাহে
একদিন সে ছিল কেবলই আমার
খোলস ছাড়ার পর হবে পৃথিবীর
ধুতুরা ফলের বিষ আলোকিত করে দিল ভেতর আঙিনা
ওই আকাশ আমার হৃদয়ে উপহার দিল রংধনু
ময়লা জ্যোৎস্নায় হাওয়ার গভীরে ডুবে যাবে তারা
তবু যদি আকাশের অলংকার সন্ধ্যাতারা ওঠে
যে বন্ধুরা আজ নিরুদ্দেশ
তাদের আকাঙ্ক্ষা যদি কাশফুল হয়ে ফোটে
বামানি নদীর বাঁকে
প্রিয়া যদি জীবনের তৃণগন্ধী বিচ্ছেদ নিয়ে বেঁচে থাকে
জোনাকির আলোয় অস্পষ্ট
একটা চিকন সাঁকো হয়ে থেকে যাবো আমিও।
আজও আমি ভালোবাসি
যারা প্রেমের জন্য মারা গেছে
সেই ভাগ্যবানদের কথা ভেবেছি
এখন আমার প্রায় ঠান্ডা প্রেমহীন দিনে
তাদের কথা বেশি করে মনে পড়ে
চৌধুরীগড়ের সেই আমগাছটা মনে আছে
কুদ্দুস ফাঁসি দিয়েছিল মনে আছে
প্রেমিক চলে যাওয়ার পর ওই আমগাছে
বাসা করেছে দাঁড়কাক
আর ওই গাছ ডালপালা ছড়িয়ে দিয়েছে
রবিশস্যভরা একটা জমির উপর।
যারা প্রেমের জন্য মারা গেছে
সেই সাহসীদের আমি ঈর্ষা করি
প্রিয়তমার অবজ্ঞার হাসির মুহূর্তে
উল্কা ছুটছে আকাশের নিচে- মনে আছে
আজও আমি ভালোবাসি হিরাঝিলের অন্ধকার
প্রেমের আগুন আজও সেঁক দিয়ে চলেছে আমাকে!