শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

গণেশ্বরী নদীর তীরে

আবু সাইদ কামাল
  ০১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

জাহিদদের বাড়ির সামনেই সীমান্ত সড়ক। বছরখানেক আগে পাকা সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সাধারণের যাতায়াতের জন্য সীমান্ত এলাকায় যেন একটি স্বপ্নের ছোঁয়া এটি। সকালে গ্রামের বাড়ি এসেছিল জাহিদ। বিকালে সীমান্ত সড়কপথে ভাড়া করা গাড়িতে বিভাগীয় শহরে ফিরছে। গ্রামের বাড়ি থেকে পাঁচশ' গজ পশ্চিমে মঙ্গলেশ্বরী নদীর সেতু। সেতুটির সামান্য দক্ষিণে খারনৈ সীমান্ত ফাঁড়ি। আধা কিলোমিটার উত্তরে গারোপাহাড় ঘেঁষা সীমান্তরেখা। এই নতুন সেতুপথে নদী পার হতে গিয়ে স্মৃতি তাড়িতে হয় জাহিদ। গাড়ির গতির সঙ্গে পালস্না দিয়ে একটানে ছুটে যায় সুদূর অতীতে।

সাত মার্চের ভাষণের পর স্বাধীনতা আন্দোলনে সারাদেশ তখন উত্তাল। তার ঢেউ গারো পাহাড়ের সীমান্তঘেঁষা এলাকাকেও স্পর্শ করেছে। তখন সীমান্ত এলাকার লেঙ্‌গুরা বাজার, খারনৈ এর হাট গোবিন্দপুর বাজার, রংছাতির বরুয়াকোনা বাজার ঘিরে হাটবারে মিছিল-মিটিং চলতে থাকে। সংগ্রামী সাধারণ মানুষ সাত-আট মাইল দূর থেকে পায়ে হেঁটে কখনো বিচ্ছিন্নভাবে, কখনো মিছিল নিয়ে এসব মিটিংয়ে যোগদান করে। জাহিদ তখন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। ছোট হলেও বন্ধু আমজাদকে নিয়ে গ্রামের নেতাদের সঙ্গে প্রতিটি মিছিল-মিটিংয়ে যোগ দেয়।

লেঙ্গুরা এলাকায় ছাত্রনেতা আবু তাহের এবং ফিরোজ আহমেদ, হাট গোবিন্দপুর এলাকার আজাদ খালেক, রফিকুল ইসলাম, তোবারক হোসেন, ছাত্রনেতা আব্দুল খালেক; রংছাতি এলাকা থেকে আক্কাছ আলী, নজরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম প্রমুখ নেতা ওসব মিটিংয়ে জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখতে থাকেন।

২৫ মার্চ কালরাতে পাকাহানাদার বাহিনী ঢাকায় হামলা চালিয়ে পৃথিবীর ইতিহাসের বর্বরতম এবং নিষ্ঠুরতম গণহত্যা চালালে বাঙালিদের মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়। প্রথমে ওদের রুখে দাঁড়াতে শুরু হয় প্রতিরোধযুদ্ধ। সেই যুদ্ধের ধারাবাহিকতায় যুদ্ধ অনিবার্য হয় খাগডহর ইপিআর সেক্টর হেড কোয়ার্টারে।

দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টাব্যাপী জীবন-মরণ লড়াইয়ের পর ২৮ মার্চ আটটার দিকে খাগডহর যুদ্ধে বাঙালিদের কাঙ্ক্ষিত বিজয় আসে। যুদ্ধজয়ের পর সুবেদার ফরিদ সকাল নয়টা বা দশটার দিকে ক্যাম্পের দায়িত্ব বুঝে নেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সুবেদায় ফরিদ সীমান্তের নকশিতে সুবেদার হাকিম, করইতলিতে সুবেদার জিয়াউল হক এবং লেঙ্‌গুরায় সুবেদার আজিজুলের কাছে ওয়্যারলেস ম্যাসেজ পাঠান। সেই ম্যাসেজ পেয়ে বাঙালি সদস্যরা বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্ত এলাকার বিওপিগুলোতে নিয়োজিত পাকিস্তানি ইপিআর সদস্যদের বন্দি করে। অতঃপর রাতের মধ্যেই সংগ্রামী জনতার সহযোগিতায় তাদের হত্যা করে সীমান্ত এলাকাকে শত্রম্নমুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

খারনৈ সীমান্ত ফাঁড়ির পাশ ঘেঁষে জঙ্গি মিছিলটি সীমান্ত সড়কে উঠে পায়ে হেঁটে মঙ্গলেশ্বরী নদী পার হয়। সীমান্ত ফাঁড়ির ভিতরে উঁচু তেঁতুল গাছের অবজারভেশন পোস্টে এলএমজি তাক করে বসেছিল পাঞ্জাবি হাবিলদার ওমর জান। ওপর থেকে আদেশ পেলেই এসব মিছিলে ব্রাশ ফায়ার করবে। তার আর সেই সুযোগ হয়নি। মিছিলটি সীমান্ত সড়ক পথে প্রায় আধাকিলো এগিয়ে ডানদিকে মোড় নেয়। গোবিন্দপুর বাজারে ঢোকার পথে মিছিলটির সামনে দাঁড়ায় একজন বাঙালি সিপাই। গতিরোধ করে বলে, ক্যাম্পের তিনজন পাঞ্জাবি সদস্যকে আটক করা হয়েছে। রাতেই ওদের ওপারে পাঠানো হবে।

তখন পড়ন্ত বিকাল। সিপাই বলে, সন্ধ্যায় ওদের বিদায় দেওয়া হবে। আপনাদের মধ্যে যারা সাহসী, তার অস্ত্র নিয়ে আসবেন। এই বলে সিপাই চলে যায়। নেতাদের একজন চাপাস্বরে মিছিলের লোকদের বলে মিছিলের ইতি টানে। মিছিলে জাহিদ এবং আমজাদ ছোটমানুষ। ওদের তো এই মিশনে যাওয়ার যোগ্যতাও নেই। সেই এত সাহসও। এলাকায় থমথমে পরিবেশ। রাতেই ওদের মঙ্গলেশ্বরী নদীর ঢালুতে সমাধি দেওয়া হয়।

শত্রম্নমুক্ত সীমান্ত ফাঁড়িগুলোতে তখন থেকে স্থানীয় কিশোর-যুবকরা মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে। অব্যাহত থাকে মিছিল-মিটিং। জাহিদ এবং আমজাদও প্রশিক্ষণ নিতে থাকে। জাহিদ এবং জয়নাল তখন এত ছোট যে, রাইফেল নিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে পারে না। তবু অদম্য ইচ্ছে থাকায় কার্তুস বন্দুক দিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে থাকে।

১৬ এপ্রিল পাকবাহিনীর সঙ্গে কালিহাতী যুদ্ধে প্রতিরোধ যোদ্ধারা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সম্ভবত ১৭ এপ্রিল তারিখে প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য প্রতি সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যদের ময়মনসিংহ অভিমুখে রওনা হওয়ার আদেশ হয়। তখন থেকে সাধারণ মানুষের প্রশিক্ষণ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে দেশের অবস্থা ক্রমে অনিশ্চয়তার দিকে যেতে থাকে। ২৩ এপ্রিল ময়মনসিংহের পতন ঘটলে বাঙালি সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা পিছু হটতে শুরু করে। সাধারণ মানুষ প্রাণভয়ে সীমান্ত এলাকার দিকে ধাবিত হতে থাকে। পর্যায়ক্রমে শরণার্থীদের আগমনে গারো পাহাড়ের পাদমূলে সীমান্তসংলগ্ন এলাকা জনমুখর হয়ে ওঠে। সীমান্তবর্তী এই এলাকা হয়ে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান।

দেশের কিশোর-যুবারা স্বাধীনত যুদ্ধে অংশে নিতে ভারতের মেঘালয়ে প্রশিক্ষণ নিতে থাকে। আমজাদও মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে যায়। কিন্তু আকারে ছোট ও বয়স কম হওয়ায় যুদ্ধে যেতে পারেনি। শাহ মো. নাজমুল হক তারা সবার আগে মেঘালয়ের ডালুতে যান। ডালু থেকে তাকে পাঠানো হয় তুরায়। মে মাসের তিন তারিখে তুরার গভীর অরণ্যে ৩টি উইংয়ের অংশগ্রহণে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। তিনটি উইংয়ের মাঝে ১নং উইং কমান্ডার নাজমুল হক তারার অধীন ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা এলাকার ১২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা সদস্য ছিল। ১২ জুন প্রশিক্ষণ শেষ হয়। প্রশিক্ষণে আমজাদ অসুস্থ হওয়ায় ফিরে আসে মহাদেও ইযুথ ক্যাম্পে।

যুদ্ধের প্রথমদিকে গেরিলা কৌশলে চোরাগোপ্তা হামলায় পাকবাহিনীর ওপর আকস্মিক 'হিট এন্ড রান' পদ্ধতিতে আঘাত শুরু করে। এভাবে অল্প সময়ের ব্যবধানে নাজমুল হক তারার কোম্পানি 'টাইগার তারা কোম্পানি' নামে খ্যাতি অর্জন করে। কলমাকান্দার অন্তর্গত লেঙ্গুরা ইউনিয়নের উত্তর সীমান্তের ওপারে ভারত সীমান্তে রংরা ক্যাম্পে সমর গোয়েন্দার মাধ্যমে খবর আসে যে, ২৬ জুলাই শত্রম্ন সেনারা নদীপথে নাজিরপুর বাজার হয়ে সকাল আটটার মধ্যে কলমাকান্দা থানা ক্যাম্পে রসদ নিয়ে যাবে। সে খবরের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন চৌহান যুদ্ধ পরিকল্পনা করে নাজমুল হক তারার ওপর দায়িত্ব অর্পণ করে।

নির্দেশ মোতাবেক নাজমুল হক তারা ২৫ জুলাই বিকাল ৩টার দিকে ৪৮ জন সদস্য নিয়ে নাজিরপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। ৪৮ সদস্যের দলকে তিনটি দলে ভাগ করা হয়। নাজমুল হক তারার সঙ্গে থাকে ২০ জন সদস্য। ওরা নাজিরপুর নদীপথে অবস্থান নেয়। সেকশন কমান্ডার রহমত উলস্নাহর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের ২য় দলটি কলমাকান্দা-নাজিপুর সড়কপথে গজারমারি নামক স্থানে অবস্থান নেয়। ১৪ সদস্যের তৃতীয় দলটি অবস্থান নেয় নাজিরপুর বাজারের পুবে।

সারারাত ওরা অ্যাম্বুশ নিয়ে পাকহানাদারের অপেক্ষায় থাকে। সকাল নয়টায় নদীপথ থেকে অ্যাম্বুশ তুলে ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। অমনি নাজিরপুর কাচারি সংলগ্ন তেরাস্তায় পাকবাহিনী তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা করে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। জীবন-মরণ এ লড়াইয়ে প্রথমেই শত্রুপক্ষের টার্গেট হয় এলএমজিম্যান জামাল। প্রথমেই তিনি শহীদ হন। চলতে থাকে প্রাণপণ লড়াই। বেলা ৩টার দিকে হঠাৎ সাব সেক্টর কমান্ডার নাজমুল হক তারা গলায় গুলিবিদ্ধ হন। ফিনকি দিয়ে ছুটে রক্ত। মারাত্মক আহত হয়ে তিনি ছিটকে পড়েন পাশের খালে। এক হাতে তিনি ক্ষতস্থান চেপে ধরেন, অন্য হাতে অস্ত্র। তার পাশে থেকে গুলি চালাচ্ছে ভবতোষ। হঠাৎ শত্রম্নপক্ষের একটি গুলি তার বক্ষভেদ করে। তিনি ওখানে মৃতু্যমুখে লুটিয়ে পড়েন। তার পরপরই গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান দ্বিজেন্দ্র। এ যুদ্ধে মোট সাতজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

আহত নাজমুল হক তারা পাশের বাওয়াক্ষেতে নেমে ধানগাছের মাঝ দিয়ে বিলি কেটে ধীরে ধীরে এককিলো দূরে একটি পোড়া বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। বাড়িতে কোনো লোক ছিল না। মারাত্মক আহত শরীরে আসে জ্বর। পোড়া এবং ছেঁড়া লেপ গায়ে জড়িয়ে সে বাড়িতেই বড় কষ্টে রাত কাটান। পরদিন সকালে গ্রামের এক বৃদ্ধের কাছে খবর পেয়ে তাকে সহযোদ্ধারা উদ্ধার করে।

সাত শহীদের লাশের বহরের পেছনে পেছনেই কাঁধে বহন করে নিয়ে চলে মারাত্মক আহত কোম্পানি কমান্ডারকে। সেদিন সাতাশে জুলাইয়ের বিকাল বেলা। ততক্ষণে সব ক'টি লাশ এসে পৌঁছেছে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে। আহত নাজমুল হক তারাকে সামরিক পিকআপ গাড়িতে করে নেওয়া হয় তুরা হাসপাতালে।

মুহূর্তের মধ্যেই শোকের ছায়া নামে পাহাড়ের ঢালু বুক, শরণার্থী শিবির এবং কাছের পাদদেশ এলাকায়। লেঙ্‌গুরা সীমান্ত ফাঁড়ির উত্তরে গারো পাহাড়ের পদপ্রান্ত ছুঁয়ে রঘুনাথপুর নামক স্থান। সীমান্তঘেঁষা সে স্থানেই কবর খননের কাজে লেগে যায় মুত্তিযোদ্ধাদের অনেক সদস্য। কবর খনন করেন হাফিজুর রহমান, জহিরুল হক হিরা, আজিজুল হক, আব্দুর রহিম, তৌহিদ, সোনা মিয়াসহ বিশ-পঁচিশ জন সদস্য। কোদাল-খন্তা-শাবল চালানো হয় বর্ষার নরম মাটির গভীরে। গনেশ্বরী নদীর কিনার বলে পানি ওঠেনি কবরে। শোক ও সন্ধ্যার আবহে পরিবেশ ক্রমশ: ভারী হয়ে ওঠে। শহীদ পাঁচজন মুসলিম মুক্তিযোদ্ধার শেষ বিদায়ের সময় জানাজা পড়তে এগিয়ে আসে আব্দুল জলিল ব্যানার্জি। এই পাঁচজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর দেওয়া হয় একটি জায়গায়। পাশের আর একটি জায়গায় সমাধি রচনা করা হয় দ্বিজেন এবং ভবতোষের।

পরদিন আহত নাজমুল হক তারাকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে নেওয়া হয় গোহাটি সামরিক হাসপাতালে। সুস্থ হওয়ার পর তার কোম্পানিকে রংরা ক্যাম্প থেকে ঢালুতে স্থানান্তরিত করা হয়।

তেলতেলে রাস্তায় মাত্র পাঁচ কিলোপথ অতিক্রম করে গণেশ্বরী নদীর ওপর রাবার ডেম পার হওয়ার সময় উত্তরদিকে তাকিয়ে দীর্ঘনিশ্বাস ছাড়ে জাহিদ। এ নদীর পাড়েই মনোমুগ্ধকর স্থানে ১১৭২নং সীমান্ত পিলার। এ পিলারে সঙ্গেই চিরনিদ্রায় পাশাপশি শুয়ে আছেন সাতজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। সন্মুখযুদ্ধে মরণপণ লড়াইয়ে শহীদদের মধ্যে জামাল মরণোত্তর পদক পেলেও বাকিরা কোনো খেতাব পায়নি। তবে ওই এলাকার মানুষের কাছে চির অম্স্নান হয়ে আছে তাদের বীরত্বগাঁথা। এখন প্রতিবছর ২৬ জুলাই সেখানে যুদ্ধদিবস এবং বীর শহীদদের স্মরণে- স্মরণ সমাবেশ হয়। স্মৃতিচারণ করা হয় অতীতের গৌরব গাঁথার। এসব স্মরণসভায় একাধিকবার অংশ নিয়েছে জাহিদ।

নাজিরপুর যুদ্ধের জন্য কিংবদন্তি নায়ক হয়ে উঠেছিলেন সাবসেক্টর কমান্ডার নাজমুল হক তারা। তিনি ২৯ মার্চ ২০১৫ তে পরলোক গমন করেন। ময়মনসিংহ ঈদগাহ মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দলমত নির্বিশেষে হাজারো মানুষ অংশ নিয়েছিল তার সেই শেষ বিদায়ের অনুষ্ঠানে। জাহিদও অংশ নেয় সেই জানাজায়।

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বহনকারী সেই সীমান্ত সড়কটি পাকা হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী ভূমিকা রেখে এলাকার উন্নয়নের পথ সুগম করেছে। জাহিদ সদ্য নির্মাণ করা সড়ক পথে ছুটে আর গৌরমময় স্মৃতির ঘোরে বিভোর থাকে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে