শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছর পর প্রথম অস্ত্রোপচার

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  ২৩ নভেম্বর ২০২০, ১৭:৫৭

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথমবারের মতো সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার কার্যক্রম চালু হয়েছে। এর ফলে ফুলপুরসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার মানুষ স্বল্প খরচে সরকারি হাসপাতালে গর্ভবতী নারীরা সিজারিয়ান সুবিধা পাবে। এখন আর ছুটতে হবে না স্থানীয় প্রাইভেট ক্লিনিক, জেলা ও বিভাগীয় শহরের হাসপাতালে। সোমবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে স্ত্রীরোগ (গাইনি) ডা. তাসলিমা খানম অবিভক্ত উপজেলার ঢাকুয়া ইউনিয়নের হরিয়াগাই গ্রামের সিনবাদের স্ত্রী সাবিনা খাতুনের সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রতিষ্ঠার প্রায় ৩৬ বছর পর ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ কার্যক্রম চালু হলো।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, সাবিনা খাতুন এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। নবজাতক ও মা দু’জনেই সুস্থ রয়েছেন। এখন থেকে এখানে নিয়মিত সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা হবে। ১৯৮৩ সালে ৩১ শয্যা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। ২০০৯ সালে তা ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছর পার করলেও বিভিন্ন সমস্যার কারণে এ প্রতিষ্ঠানে সিজারিয়ান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে এখন থেকে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা হবে।

নবজাতকের পিতা সিনবাদ বলেন, হাসপাতালে সিজার করায় অনেক কম টাকা লেগেছে। এখানে সিজার করাতে না পারলে প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যেতে হতো। কমপক্ষে ৪০ হাজার টাকা খরচ হতো। আমি গরীব মানুষ এতো টাকা কোথায় পেতাম? এ সুবিধা চালু করায় এলাকার বহু মানুষ উপকৃত হবে।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. প্রাণেশ চন্দ্র পন্ডিত বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি থাকা স্বত্ত্বেও ডাক্তার সংকটের কারণে বহু বছর ধরে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার বন্ধ ছিল। সবাইকে প্রাইভেট ক্লিনিকসহ জেলা ও বিভাগীয় শহরের হাসপাতালে যেতে হতো। এখন থেকে এ হাসপাতালে সিজারসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রোপচার করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. রাশিদুজ্জামান খান বলেন, হাসপাতালে গাইনি ও প্রসূতি এবং অ্যানেসথেসিয়া কনসালটেন্ট পদটি শূন্য থাকায় সমন্বয়ের মাধ্যমে অফিস চলাকালীন সময়ে অস্ত্রোপচার করা হবে। শীঘ্রই শূন্য পদে নিয়োগ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এখনো কিছু সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠলে সাত দিনই সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা হবে।

অবশেষে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. রাশিদুজ্জামান খান, ডা. প্রাণেশ চন্দ্র পন্ডিত, ডা. তাসলিমা খানম, ডা. একেএম লতিফুল আলম সায়মন, ডা. মাজহারুল ইসলাম সজীব, সিনিয়র স্টাফ নার্স রাখি, সায়মার আন্তরিক প্রচেষ্টায় সফলভাবে একজন প্রসূতির সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপারেশন থিয়েটারটি চালু হওয়ায় উপজেলাবাসীর দীর্ঘ ছয়ত্রিশ বছরের প্রত্যাশা পূরণ হলো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে