শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বুক জ্বালাপোড়া হলে কী করবেন?

যাযাদি/এস
  ১৯ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:১০

বুকে জ্বালাপোড়া যদি এরকম পর্যায়ের অসহনীয় হয় যে এসিডিটির ওষুধ খেয়েও সারছে না, বুকের মাঝখান বরাবর প্রচণ্ড ব্যথা হয় এবং ব্যথাটি ক্রমশ আপনার হাত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে তাহলে এটি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণও হতে পারে। এমন অবস্থায় দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যান।

হঠাৎ করে বুক জ্বালাপোড়া, ব্যথা এবং অন্যান্য উপসর্গের কারণে বিশ্বের ৮ মিলিয়ন মানুষ রোজ ডাক্তারের কাছে ছুটছেন। বুক জ্বালাপোড়া করা অবহেলা করার মত সমস্যা নয়। বরং এর থেকে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি পর্যন্ত রয়েছে। পাকস্থলীর ভেতরকার অম্লরস কোন কারণে পাকস্থলী থেকে ওপরের দিকে উঠে আসতে থাকলে বুকে জ্বালাপোড়া ও অস্বস্তিবোধ হয়। বুক জ্বালাপোড়া হওয়ার কিছু কারণ দেখে আসা যাক:

১. অতিরিক্ত তেল, মশলা, ঝাল ও চর্বি জাতীয় খাবার: সাধারণত তেল, প্রচুর মশলা, ঝাল ও চর্বি জাতীয় খাবার খেলে এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায়। তাই খাবারে পরিমিত পরিমাণে তেল খান। অতিরিক্ত ঝাল, মশলা ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ভাজাপোড়া কার্বনেটেড ড্রিঙ্ক, চকলেট খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

২. আলসার: অনেক সময় আলসারের কারণেও বুকে জ্বালাপোড়া বা অস্বস্তিভাব আসতে পারে। তবে আলসারের ক্ষেত্রে এই জ্বালাপোড়া পেট থেকে শুরু হয়ে বুক পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে। তাই সন্দেহ হলে ডাক্তার দেখিয়ে পরীক্ষা করে নিন।

৩. মানসিক চাপ: অতিরিক্ত মানসিক চাপে পাককস্থলীতে অম্লরস বাড়ে। তাই যতটা সম্ভব চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।

৪. অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন: অ্যালকোহল এবং অতিরিক্ত চা-কফি পানেও বুকে জ্বালা ভাব হতে পারে।

৫. ধূমপান: ধূমপানে বিষপান। ধূমপানে শুধু বুক জ্বালাপোড়া নয়, সর্বোচ্চ পরিণতি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। তাই ধূমপানকে না বলুন আজ থেকেই।

৬. খাওয়ায় সময় বেশি পানি খাওয়া: খাওয়ায় সময় বেশি পানি খেলে সেই পানি পাকস্থলীর হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে মিশে এসিডকে উপরে উঠিয়ে দেয়। ফলে বুক জ্বালাপোড়া হতে পারে। তাই খাওয়ায় সময় একসাথে বেশি পানি না খেয়ে অল্প অল্প করে খান। এতে পেটে অতিরিক্ত গ্যাস ও এসিড উৎপন্ন হবে না।

শুধু এই কারণগুলোই নয়। বুকে জ্বালাপোড়া হওয়ার আরো অনেক কারণ থাকতে পারে।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক বদ অভ্যাস নানা রকম অসুখ বিসুখের জন্য দায়ী। একটু সংযত জীবন যাপন করলে যেমন ভাল থাকবেন, আপনার শরীরও সুস্থ থাকবে। কিছু নিয়ম মেনে চললে এসব সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। যেমন:

১. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন। প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল খান। মশলা, ভুনা জাতীয় খাবার না খেয়ে কম তেলে রান্না ঝোল জাতীয় খাবার খান।

২. রাতে ঘুমাতে যাওয়ায় ২-২.৫ ঘন্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন।

৩. একবারে অনেক বেশি না খেয়ে সারা দিনে অল্প অল্প করে অনেকবার খান। এতে খাবার হজম হবে দ্রুত। অস্বস্তিও হবে কম।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে