রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ন্যামপ্লেট আছে, ডাক্তার নেই,  বিপাকে সাধারণ মানুষ

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
  ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০১

শীত যত প্রকোপ হচ্ছে শীতজনিত রোগ ততই বাড়ছে। উত্তরের জেলা লালমনিরহাট প্রতি বছরেই শীতকালীন সময় যেন অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য মরার উপর খারার ঘা হয়ে দাড়ায়।

রবিবার সকালে সড়জমিনে হাতীবান্ধা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, শীত জনিত শিশু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। এর সাথে বাড়ছে বয়স্কদের নানান শীতজনিত রোগ। এদিকে ভারতের হিমালয় অঞ্চলের পাশের এলাকা হাতীবান্ধা পাটগ্রাম অঞ্চল হওয়ায় শীতের তীব্রতা অনেক বেশী। শীতজনিত রোগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অনেক রোগী সু-চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তবে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাঃ মোছাঃ শাহানা আফরীন জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) বিসিএস (স্বাস্থ্য) এফসিপিএস (শিশু) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাতীবান্ধা লালমনিরহাট নামে একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ন্যামপ্লেট একটি কক্ষে লাগানো থাকলেও তার দেখা পাচ্ছেনা দুর দুরান্ত থেকে সেবা নিতে আসা শিশু রোগীরা।

বিশ্বসসুত্রে জানা যায় ডাঃ শাহানা আফরীন হাতীবান্ধা হাসপাতালে সপ্তাহে একদিন চিকিৎসা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি আসেননা। এতে করে শিশুরোগীরা চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

মোসলেহা নামে একজন শিশু রোগীর মা জানান, আমার ছয় মাসের সন্তানের শীতজনিত রোগ হওয়ায় শিশু বিশেষজ্ঞ না পেয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আনোয়ারুল হক এর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিয়েছি।

সিন্দুর্না থেকে আসা লতা বেগম জানান, আমি দুইদিন এসে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের দেখা না পেয়ে জরুরী বিভাগের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েছি। তবে তিনি দাবী করে বলেন, এই হাসপাতালে একজন নিয়মিত শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের খুবই প্রয়োজন।

এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আনোয়ারুল হক জানান, শীত বেশী হওয়ায় প্রতিদনই শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

জানতে চাইলে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ হাসানুল জাহিদ জানান, লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় লোকাল অর্ডারে সেখানেই চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন ডাক্তার শাহানা আফরিন। তবে হাতীবান্ধা হাসপাতালে সপ্তাহে একদিন চিকিৎসা দেওয়ার কথা ছিলো, যতদিন সদরে রোগীর সংখ্যা না কমবে ততদিন সেখানেই তিনি থাকবেন।

এ বিষয়ে ডাঃ শাহানা আফরিন জানান আমি বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার কারণে হাসপাতালে উপস্থিত থাকতে পারিনি। তবে আজ রবিবার সদর হাসপাতালে যোগদান করেছি। হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও নিয়মিত চিকিৎসা সেবা প্রদান করবো।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে