এক একটি ইঞ্জেকশনের দাম অন্তত ১০ হাজার টাকা। বয়স কমাতে নিয়ম করে এমন অনেক ইঞ্জেকশন নিতে হয় (অন্তত ২ লাখ টাকার প্যাকেজ )। আর সেই ইঞ্জেকশনের পেছনেই আপাতত পাগল গ্ল্যামার জগতের তারকারা। পিছিয়ে নেই বিত্তশালি তরুণীরাও। তবে এর পেছনে ছুটে প্রাণহানি কিংবা জীবন ঝুঁকিতেও পড়েছেন অনেকেই।
বিপদজনক এ পরিস্থিতির কারণ খুঁজতে গিয়ে গ্লুটাথিয়োন ইঞ্জেকশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই বলছেন, বয়স কমানোর চিকিৎসায় গ্লুটাথিয়োনের ভুল ব্যবহারেই শরীরে প্রতিক্রিয়া হয়ে কেউ কেউ মৃত্যু ঝুঁকিতে পরছে। কিন্তু এই গ্লুটাথিয়োন আদতে কী বস্তু? তা কি প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে পাওয়া সম্ভব?
গ্লুটাথিয়োন কী?
গ্লুটাথিয়োন হল একটি ননএনজ়াইম অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। যাকে অ্যান্টি এজিং অ্যান্টি অক্সিড্যান্টও বলা হয়। শরীর ভাল রাখতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের উপকারিতার কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু সেই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টেরও নানা প্রকারভেদ থাকে। তাদের কাজের ধরনও হয় আলাদা আলাদা। গ্লুটাথিয়োন ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
সোজা কথায় ত্বকের বয়স কমিয়ে দেয় গ্লুটাথিয়োন। যে কাঁচের মতো মসৃণ ত্বক বা গ্লাস স্কিন নিয়ে এত হইচই, তা গ্লুটাথিয়োনের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। কিন্তু তা একেবারে ঝুঁকি মুক্ত নয়। কৃত্রিম ভাবে গ্লুটাথিয়োনের ব্যবহার এফডিএ স্বীকৃত নয় বলেও ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, ‘‘গ্লুটাথিয়োনের জন্য প্রাকৃতিক উপাদানেও ভরসা করা যায়। এমন অনেক চেনা ফল বা শাক সব্জি রয়েছে যা ত্বকে গ্লুটাথিয়োনের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে।’’
কোন কোন খাবারে গ্লুটাথিয়োন বাড়তে পারে?
সালফার আছে যে খাবারে
সালফার শরীরে গ্লুটাথিয়োন উৎপাদনে সাহায্য করে। তাই যে সমস্ত খাবারে সালফার রয়েছে যেমন পেঁয়াজ, রসুন, ব্রোকোলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালংশাক, ডিম, মুরগির মাংস, ডাল, বিনস ইত্যাদি, তা গ্লুটাথিয়োন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।
ভিটামিন সি, কারকিউমিন, পলিফেনল, সেলেনিয়াম আছে এমন খাবার
কমলা লেবু, পাতিলেবুর মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, পলিফেনলে ভরপুর গ্রিন টি, সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ মাশরুম, ভিটামিন ই-তে ভরপুর সূর্যমুখীর বীজও ত্বকে গ্লুটাথিয়োন উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
এ ছাড়া যা যা প্রাকৃতিক ভাবে গ্লুটাথিয়োন উৎপাদনে সাহায্য করে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না তার মধ্যে রয়েছে অ্যাভোকাডো, অ্যাসপারাগাস, জুকিনির মতো ফলও।