বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

দূরে থাকা প্রেমিক-প্রেমিকাদের চুমু দেবে যন্ত্র

যাযাদি ডেস্ক
  ০১ মার্চ ২০২৩, ১৭:৫২
দূরে থাকা প্রেমিক-প্রেমিকাদের চুমু দেবে যন্ত্র

প্রেমিক যুগল বা যেসব দম্পতি দূরে থাকেন, তাঁরা একে অপরের সংস্পর্শে খুব কম সময়ই আসতে পারেন। চুমুর ক্ষেত্রে তাঁদের ফ্লাইং কিসের ওপর ভরসা করতে হয়। এই ধারণা এবার বদলে যাচ্ছে। দূরে থেকেও এবার তাঁরা চাইলেই একে অপরকে চুম্বন করতে পারবেন। অ্যাপসহ এমন একটা চুম্বন যন্ত্র তৈরি করেছে চীন।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিলকন ঠোঁট দিয়ে তৈরি করা এই চুম্বন যন্ত্রটি মানুষের মতোই ঠোঁট নড়াচাড়া করে। সত্যিকারের চুম্বনের অনুকরণ করার চেষ্টা করে। এ ছাড়া যন্ত্রটি মানুষের মতোই চুম্বনের চাপ, তাপমাত্রা ও নড়াচড়ার অনুকরণ করতে পারে।

যন্ত্রটির উদ্ভাবকেরা জানিয়েছেন, শারীরিকভাবে দূরে থাকা দুজন মানুষের মধ্যে চুমু বিনিময়ের জন্য যন্ত্রটি একটি মুঠোফোনের চার্জিং পোর্টে প্ল্যাগ করতে হবে। এরপর একটি নির্দিষ্ট অ্যাপে মুঠোফোন দিয়ে নিবন্ধন করে যন্ত্রটির সিলিকন ঠোঁটে একটি চুমু দিয়ে প্রিয় মানুষটির কাছে পাঠাতে হবে। অপর পক্ষে যদি একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ওই সিলকন ঠোঁটে ঠোঁট রাখে, তাহলে তিনি তাঁর সঙ্গী বা সঙ্গীনির দেওয়া সত্যিকারের চুমুর মতোই অনুভূতি পাবেন।

সঙ্গী বা সঙ্গীনির চুমুর ক্ষেত্রে শারীরিক অনুভূতির পাশাপাশি যন্ত্রটি চুমু দেওয়ার সময় ব্যবহারকারীর তৈরি শ্বাসসহ শব্দও পাঠাবে। এই অ্যাপ ডেটিং সাইট হিসেবেও কাজ করতে পারে। অ্যাপ ব্যবহারকারী ব্যক্তিরা তাঁদের চুম্বন আপলোড করতে পারবেন, এই অনুভূতি কারও পছন্দ হলে তাঁরা ব্যবহারকারীর সঙ্গে সংযোগ হতে পারবেন।

দূরবর্তী এই চুমুর ধারণা ইতিমধ্যে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই এই ধারণাকে ‘ভয়ঙ্কর’ বলে অভিহিত করেছেন। আবার কেউ কেউ এটার স্বাদ নিতে আগ্রহী বলেও মত দিয়েছেন। দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এ–সংক্রান্ত পোস্টগুলো কয়েক লাখ ব্যবহারকারী দেখেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘এটা একটা দারুণ আবিষ্কার—কিন্তু জিব কোথায়?’ সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের ওয়েবসাইটে একজন পাঠক লিখেছেন, ‘এটা কোথায় পাব?’

দেশটির রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিয়াংসু প্রদেশের চাংঝো ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট অব মেকাট্রনিক টেকনোলজি প্রায় ৩ হাজার ৮০০ টাকা (৩০ পাউন্ড) মূল্যের এই যন্ত্র ইতিমধ্যে পেটেন্ট করে নিয়েছে।

যন্ত্রটির উদ্ভাবক জিয়াং ঝংলি বলেন, ‘আমি আমার প্রেমিকার সঙ্গে দীর্ঘ দূরত্বের সম্পর্কে ছিলাম। আমরা শুধু মুঠোফোনের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সেখান থেকেই এই যন্ত্র তৈরির অনুপ্রেরণা পেয়েছি।’

এই চুম্বর যন্ত্রটির বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে। চীনের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম তাওবাওয়ে প্রতি মাসে প্রায় ১০০টি করে যন্ত্র বিক্রি হচ্ছে। যন্ত্রটির একটি রিভিউ করতে গিয়ে একজন চীনা নাগরিক লেখেন, যন্ত্রটি তাঁর দূরে থাকা প্রেমিকাকে অনেক কাছে এনে দিয়েছে। তিনি লেখেন, ‘ধন্যবাদ প্রযুক্তি’।

যাযাদি/এস এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে